সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের কাশ্মীর উপত্যকায় বিরাট সাফল্য পেল ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। জইশ-ই-মোহাম্মদের তিন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদিকে একেবারে গুড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা, CRPF এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। হ্যাঁ একদম ঠিকই পড়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্যতম নাম শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার সাইফুল্লাহ (Saifullah Killed)।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কীভাবে চলল অভিযান?
গত ৯ই এপ্রিলের ঘটনা। কিশ্তওয়ারের ছত্রু অঞ্চলের নাইদগাম জঙ্গলে শুরু হয় জোরদার তল্লাশি অভিযান। শুক্রবার সকালেই প্রথম একজনকে নিকাশ করে সশস্ত্র সেনাবাহিনী। এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই দুইজনকে হত্যা করে দেওয়া হয়। আর এই তিনজন নিহত সন্ত্রাসবাদী হলেন সাইফুল্লাহ, ফারমান এবং বাসা। জানা গিয়েছে তিনজনের মাথার উপরেই ছিল নগদ পাঁচ লক্ষ টাকার পুরস্কার।
কারা চালিয়েছিল এই অভিযান?
বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই অপারেশনে অংশ নেয় ভারতীয় সেনার বিশেষ এক কমান্ডো ইউনিট, যার মধ্যে ছিল ২, ৫ এবং ৯ প্যারা বাহিনী। সঙ্গে ছিল CRPF জওয়ান এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
সূত্র বলছে, অভিযানের সময় তুষার ঢাকা ওই দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে হেলিকপ্টারের সাহায্যে পালিয়ে বেড়ানো জঙ্গিদের ট্র্যাক করেছে সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্র, গুলি এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে ওই ঘটনাস্থল থেকে।
আর কোথায় কোথায় চললো তল্লাশি?
এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, উধমপুর ও কিশ্তওয়ার জেলার একাধিক স্থানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। গোয়েন্দা সূত্র মারফত খবর, একটি বড় দল পাকিস্তান থেকে কাঠুয়া জেলার হীরানগর সেক্টরে প্রবেশ করেছে। আর এই গোষ্ঠীর সদস্যরা গত ৩রা এপ্রিল উধমপুর চোরে পাঞ্জওয়া-খাব্বাল অঞ্চলে ঢুকে স্থানীয় এক পরিবারের থেকে মোবাইল ও খাবার ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এর আগে ২৭শে মার্চ কাঠুয়ার সুফাইন জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই জঙ্গি এবং চার পুলিশ কর্মীর।
ফের সীমান্তের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন
এদিকে গত শুক্রবার রাতে অখনূরের খোর থানার অন্তর্গত কেরি-বাটাল সেক্টরে ভারতীয় সেনার পোস্ট লক্ষ্য করে গুলি নিক্ষেপ করে পড়শি দেশের সেনারা। আর এই ঘটনায় জেসিও কুলদীপ সিং নামের এক ভারতমাতার সন্তান গুরুতর গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে হাসপাতালেও অ্যাডমিট করা হয়। কিন্তু ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সূত্র বলছে, রাত ৯:১৫ মিনিট নাগাদ পাকিস্তানের সেনারা এই ছোট্ট অস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় সেনাদের ওপর গুলি চালায়। ভারতীয় সেনারাও পাল্টা জবাব দিতে চায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এক ভারতমাতার সন্তান শহীদ হন।