সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার ঠিক একদিন পরেই ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত (India Pakistan Tension) মিলেছে। হ্যাঁ, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে এবার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, সেনাবাহিনী এবার নিজেই ঠিক করবে যে, কবে, কোথায় এবং কীভাবে তারা এই হামলার যোগ্য জবাব দেবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আজ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং তিন সেনাপ্রধান চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান। জানা যাচ্ছে, প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে এই বৈঠক চলেছিল পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর কড়া বার্তা
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। আর যারা এই হামলার পিছনে রয়েছে, তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, খুঁজে বার করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। হ্যাঁ, এই বক্তব্যের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তুলেছেন মোদি। কারণ অতীতেও এরকম বহু হামলার শিকার হয়েছে ভারত।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বিরোধীদের সমর্থন
সূত্রের খবর, কাশ্মীর হামলার পর কেন্দ্র সরকার একটি সর্বদলীয় বৈঠকেরও ডাক দেন। আর সেখানে বিরোধী দলগুলো স্পষ্ট জানায় যে, সরকারের যেকোনো কড়া পদক্ষেপে তারা সাথ দেবে। রাজনৈতিক বিভাজনদের ঊর্ধ্বে উঠে দেশপ্রেম এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই তাদের এই আশ্বাস।
পাকিস্তানবিরোধী কড়া পদক্ষেপ
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, জঙ্গি হামলার পর দিন ক্যাবিনেট সিকিউরিটি কমিটির বৈঠকে বড়সড় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর যার জেরে সরাসরি পাকিস্তানও পাল্টা হুশিয়ারি ছাড়ে। প্রথমত, সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। দ্বিতীয়ত, আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি পাকিস্তানীদের ভিসাও বাতিল করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান হাই কমিশনে নিযুক্ত তিন বাহিনীর উপদেষ্টাদের দেশে ফেরত পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের সবুজ বাগিচায় ২৬ জন অমুসলিম ভারতীয় পর্যটককে বেছে বেছে হত্যা করেছে পাক মজৎপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। পরিবারের সামনে কলমা পড়ার আদেশ না মানতে পারায় নিরীহদের রক্তে ভিজেছিল কাশ্মীরি মিনি সুইজারল্যান্ডের মাটি। আর এরপরই ভারত বিরোধী পদক্ষেপের হাড় কাঁপানোর জবাব পাচ্ছে পশ্চিম দিকের দেশ।