সহেলি মিত্র, কলকাতা: বর্তমানে ডিজিটাল। যুগ চলছে। আর এই ডিজিটাল যুগের প্রভাব সর্বত্র। বাদ যায়নি মেট্রো ব্যবস্থাতেও। আগে যেখানে কিছু বছর আগে অবধি টোকেন ব্যবস্থা ছিল, সেখানে এখন স্টেশনে স্টেশনে কিউআর কোড (QR Code Ticket) ভিত্তিক টিকিট ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। তবে এই ব্যবস্থা এনে এখন যেন আরও বিশ বাঁও জলে পড়েছেন মেট্রো কর্তা থেকে শুরু করে মেট্রো যাত্রীরা। বিশেষ করে এই অসুবিধা তৈরী হয়েছে কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রুটে। আপনিও কি মেট্রো যাত্রী? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটে চরম হয়রানির শিকার যাত্রীরা
কিউআর কোড স্ক্যান করতে গিয়ে রীতিমতো নাকাল হচ্ছেন কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের যাত্রীরা। এদিকে রেল কর্মকর্তারাও যাত্রীদের প্রতিদিন একই জিনিস বোঝাতে গিয়ে হয়রান হয়ে যাচ্ছে বলে খবর। বিগত বেশ কিছু সময় আগে যেহেতু টোকেন ব্যবস্থার জেরে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিল কলকাতা মেট্রোর সেজন্য কাগজভিত্তিক QR Code বিশিষ্ট টিকিট চালু করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এতে করে সকলের সমস্যা বেড়েছে বৈ কমেনি।
অভিযোগ মেট্রো স্টেশন গুলিতে যে গেট রয়েছে সেখানে এই কিউআর কোড স্ক্যান হতে চাইছে না। এর ফলে যাত্রীরা অনেক সময় ট্রেন ধরতে অক্ষম হচ্ছেন। অভিযোগ, ভিড়ের সময়ে গেট ঠিক মতো না খোলায় যাত্রীদের ব্যাপক হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর ফলে স্টেশনের প্রবেশপথে মোতায়েন কর্মীর সাহায্য নিয়ে আলাদা করে গেট খুলে যাত্রীদের বেরোতে হচ্ছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কী বলছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ?
এদিকে কিউআর ঠিক করে স্ক্যান না হওয়ার জন্য যাত্রীদের ভুলের দিকেই আঙুল তুলছেন। তাঁদের দাবি, ওই টিকিট স্ক্যানারের থেকে কয়েক সেন্টিমিটার দূরে ধরা উচিত, যাতে টিকিটে ছাপানো কোড যন্ত্র ঠিকমতো পড়তে পারে। তবে যাত্রীরা বলছেন, সেটা করেও হচ্ছে না। গেট খুলতেই চাইছে না। ফলে আবার সকলকে অনেকটা ঘুরে অন্য গেটে যেতে হচ্ছে। লম্বা লাইনে লাগতে হচ্ছে।
হাওড়া ময়দান, হাওড়া, মহাকরণ, এসপ্ল্যানেড থেকে শুরু করে করুণাময়ীতে এই সমস্যার বেশি সম্মুখীন হতে হচ্ছে যাত্রীদের। মেট্রো অধিকারিকদের দাবি, মোবাইল টিকিট এবং UPI ব্যবহার শেখানো নিয়ে তাঁদের এতই ব্যস্ত থাকতে হয় যে কিউআর কোডের টিকিটের ব্যবহার পদ্ধতি যাত্রীদের বোঝানোর সময় মেলে না। ফলে ওই টিকিট ব্যবহারে যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যা বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছে কর্মীদের।