দেশের বড় বড় তিনটি ব্যাঙ্কের উপর এবার বিরাট অভিযোগ (RBI Penalty) আনলো ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের বিরুদ্ধে মূল্য অভিযোগ যে, তারা ঋণ দেওয়ার নিয়ম ভেঙেছে এবং গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষায় গাফিলতি করেছে। আর এর ফলাফল হিসাবে তিনটি ব্যাঙ্কের কাঁধে চাপল আরবিআই এর বড়সড় জরিমানার অঙ্ক। আর এই তিনটি ব্যাঙ্ক হল কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক।
কেন আরবিআই এরকম পদক্ষেপ নিল?
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে গত ১৭ই এপ্রিল, বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে, এই তিনটি ব্যাঙ্ক আর্থিক নিয়ম নীতি লংঘন করেছে। কেউ কেউ কেওয়াইসি বিধিনিষেধ মানেনি, আবার কেউ ঋন বা অগ্রিমের ক্ষেত্রে গাফিলতি করেছ। এমনকি গ্রাহক পরিষেবার ক্ষেত্রেও অনিয়ম ধরা পড়েছে। আর এই কারণেই বড়সড় জরিমানা হয়েছে এই ব্যাঙ্কগুলির উপর।
কত টাকা জরিমানা হল?
এখনো পর্যন্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের উপর ৬১.৪ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। এই ব্যাঙ্কের উপর অভিযোগ উঠেছিল, ঋণ ও অগ্রিম সংক্রান্ত বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্কের উপর ৩৮.৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আর এই ব্যাঙ্কের উপর অভিযোগ ছিল কেওয়াইসি নিয়মের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের। পাঞ্জাব ন্যাশনাল বাঙ্কের উপর ২৯.৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কারণ এই ব্যাঙ্ক গ্রাহক পরিষেবা খাতে অনিয়ম করেছিল, এমনই অভিযোগ উঠেছিল।
গ্রাহকদের চিন্তার কারন আছে?
আসলে এখানে একটি প্রশ্ন আসে। অনেক গ্রাহক হয়তো ভাবতে পারেন যে, এত বড় অঙ্কের জরিমানা কি তাদের সঞ্চয় ও লেনদেনের উপর কোন রকম প্রভাব ফেলবে? কিন্তু আরবিআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই জরিমানা ব্যাঙ্ক পরিচালনা কমিটির অভ্যন্তরীণ গাফিলতির জন্য।
গ্রাহকদের উপরে এর কোন প্রভাব পড়বে না। এমনকি ঋণ বা লেনদেনের ক্ষেত্রেও কোন প্রভাব পড়বে না। অর্থাৎ, গ্রাহকদের আগে থেকে আতঙ্কিত হওয়ার কোনরকম কারণ নেই।
ব্যাঙ্কগুলির প্রতিক্রিয়া
এখনো পর্যন্ত এই তিনটি ব্যাঙ্কের কেউই কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি। তবে উপরমহল থেকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্ক পরিচালনার স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন উঠছে। আর এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির উচিৎ তাদের দায়িত্ব আরো বেশি করে বুঝে নেওয়া। কারণ সাধারণ মানুষের অর্থ যেখানে জড়িত থাকে, সেখানে কোনরকম ত্রুটি রাখা যাবে না।