দুই বছরেই ভেঙে পড়ল উন্নয়ন, ধূলিসাৎ মমতার হাতে উদ্বোধন হওয়া আত্রেয়ী নদীর বাঁধ
প্রীতি পোদ্দার, বালুরঘাট: গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্যোগে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর (Atrai River) ওপর বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল বালুরঘাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছিলেন এই আত্রেয়ী নদীর বাঁধ। কিন্তু তার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই নদীবাঁধের বেহাল দশায় আতঙ্কিত গোটা এলাকা। আর সেই আতঙ্কই এবার বাস্তব রূপ নিল।
অনেকদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ করে আসছিল যে, বালুরঘাটের এই বাঁধটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। যার ফলে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে খুব সহজেই ভেঙে যেতে পারে। এছাড়াও তাঁরা দাবি করেছেন যে, বাঁধের নির্মাণ কাজে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। বাঁধের উপাদান সামগ্রীতে অর্থাৎ কাঁচামালগুলিতে নানা কারচুপি করা হয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কাই সত্যি হল। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে ওই বাঁধে যাতায়াতের সিঁড়িটি উলটে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বাঁধের।তবে প্রশাসন বলছে, অতিরিক্ত জলের চাপে এই বিপত্তি ঘটেছে। রবিবার রাতে বাঁধে যাতায়াতের সিঁড়িটি উলটে যায়। এবং আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
আর এদিকে বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়াও এলাকায় যায় পুলিশ ও পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রও। গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। অনুমান করা হচ্ছে জলের অতিরিক্ত চাপে এমন বিপত্তি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই সেক্ষেত্রে জলের চাপ কমাতে সেচদপ্তরের কর্মীরা রাতেই স্লুইস গেট খুলে দেন। আচমকা বাঁধের এই হেন পরিস্থিতিতে রীতিমত রাজ্য রাজনীতিতে জোর তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। শাসক দল তৃণমূলকে একের পর এক কড়া মন্তব্যে বিঁধছে বিরোধী দলগুলি।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন যে, “পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন আর বিপর্যয় এখন সমার্থক শব্দ হয়ে গিয়েছে। বছর দুয়েক আগে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর উপর ড্যাম তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেও বিপর্যয়। আকস্মিকভাবেই সেই ড্যামও ভেঙে গেল। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে যে কায়দায় সর্বত্র প্রতিষ্ঠানিক লুট চলছে, তাতে স্পষ্ট আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের মানুষই তাঁর লুটের সরকারও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবেন।” এছাড়াও তিনি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে লিখেছিলেন, “এবার যাবে পশ্চিমবঙ্গের পাপ।”
https://twitter.com/DrSukantaBJP/status/1888790910965846033?ref_src=twsrc%5Etfw” rel=”nofollow noopener
যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, “ গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন নজর রেখেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে কোনো পরিষ্কার তথ্য আসেনি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বারবার জানানো হচ্ছে যে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।” এখন দেখার বিষয় যে, সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এবং স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
বর্তমানে বৈদ্যুতিক স্কুটারের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বাজারে নতুন সংযোজন “জালিও লিটল গ্রেসি”, যা…
শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: মার্চের গরমে কার্যত কালঘাম ছুটে যাচ্ছে দেশবাসীর। কেউ হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ ফাল্গুন গড়িয়ে চৈত্র সবে শুরু হয়েছে। আর মাসের শুরুতেই তীব্র দাবদাহে (Heat…
স্মার্টফোনের অতিকায় প্রবর্তন চমকে দিতে পারে সবাইকে। এদিন, এমনই একটি অদ্ভুত, একইসঙ্গে উদ্ভাবনীয় ডিভাইস বাজারে…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বালুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি, এরই মধ্যে নতুন করে…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: লটারি (Lottery) কেটে ভাগ্য পরীক্ষা করতে চান? মোটা অঙ্কের লোভে চটজলদি কোনও…
This website uses cookies.