প্রীতি পোদ্দার, বীরভূম: দোলের দিন অর্থাৎ হোলির দিন সকলে যখন রঙের উৎসবে ব্যস্ত তখন দু’পক্ষের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামে পুলিশ৷ অবশেষে ২০ জনকে আটক করা হয়৷ উত্তেজনা প্রশমিত করতে সংঘর্ষের পরই ইন্টারনেট পরিসেবা (Internet Service Closed in Birbhum) বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন৷ এলাকায় মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনী৷
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, দোলের দিন বীরভূমের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাতোরা গ্রাম পঞ্চায়েত, মাথপালসা গ্রাম পঞ্চায়েত, হরিসারা গ্রাম পঞ্চায়েত, দরিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ফুলুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সংঘর্ষের কারণে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অশান্তির খবরকে কেন্দ্র করে সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়াতে থাকে। যার ফলে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ এই এলাকায়
সূত্রের খবর, গতকাল পঞ্চায়েত এলাকায় এই কর্মকাণ্ডের কারণে প্রশাসনের তরফে আগামী ১৭ মার্চ সকাল ৮টা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সাঁইথিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার ফলে এলাকাগুলিতে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকলেও ভয়েস কল এবং এসএমএস পরিষেবাগুলি বন্ধ থাকবে না। অর্থাৎ সাধারণ ফোন কল বা এসএমএস করা যাবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
পুলিশকে কড়া আক্রমণ সুকান্ত মজুমদারের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে ২০ জনেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে, যাঁরা সরাসরি সংঘর্ষের জড়িত ছিলেন৷ তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বীরভূমকে “ব্লাস্ট ফ্যাক্টরি” বলেও মন্তব্য করেন৷ উল্লেখ্য, অতীতে এই জেলা থেকেই কেজি কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। তিনি পুলিশ বাহিনীকে “অকার্যকর” ও “রাজনীতিকরণ” হয়ে পড়ারও অভিযোগ করেন।