সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বাংলার রেলপ্রেমীদের জন্য রইল দারুণ সুখবর। নতুন রেলপথ (New Rail Line) তৈরি করতে এবার প্রশাসনকে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বাংলায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ৩০ কিমি লাইন পর্যন্ত রেল পরিষেবা যাতে দ্রুত শুরু করা যায় তার জন্য রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে রেলকে একযোগ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে রেল প্রকল্পের বিষয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
নতুন রেলপথ তৈরি করার নির্দেশ আদালতের
আসলে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার গুরুদাসনগর থেকে বিষ্ণুপুরের বাখরাহাট ও নুঙ্গি পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার অবধি রেলপথ অনুমোদিত হয়েছিল। এর জন্য বিপুল পরিমাণে টাকা অবধি বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু ২০২৫ সাল এসে গেলেও এই রেলপথ তৈরি হয়নি। এদিকে এই রেলপথ না তৈরি হওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এদিকে সাধারণ মানুষের কথা ভাবনাচিন্তা করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক রামরাবণ পাল। তিনি আইনজীবী মারফত আদালতে এই মামলা করেন।
এরপর বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা উঠলে বড় নির্দেশ দেওয়া হয়। রামরাবণ পাল জানান, ট্রেন পরিষেবা না থাকায় ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। তাঁদের এই হয়রানি কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। এর পরেই হাই কোর্ট জমি অধিগ্রহণ ও আর্থিক অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প রূপায়ণে উদ্যোগী হওয়ার জন্য রাজ্য ও রেলকে নির্দেশ দেয়।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কষ্ট লাঘব হবে সাধারণ মানুষের?
আদালতে কংগ্রেস নেতা জানান, ‘২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য ১১,৯৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তা ছাড়া, জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে এবং রেল কর্তৃপক্ষকেও একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সব নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।’
এরপর প্রধান বিচারপতি জানান, যেহেতু এটি জনস্বার্থ মামলা তাই রাজ্য ও রেলকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। নইলে রেলপথের মাধ্যমে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনও নির্দেশ দেওয়া যায় না। যাইহোক, আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্য এবং রেল যদি কাজ শুরু করে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবেন স্থানীয় মানুষ।