বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: শেষমেশ ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সীলমোহর পেতে চলেছে বাংলাদেশ। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই চিন (China) ওপার বাংলার লালমনিরহাট জেলায় বিমানঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই, ড্রাগনের দেশকে সেই অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার যে অংশে বিমান ঘাঁটি তৈরির অনুমতি পেয়েছে চিন, সেটি মূলত ভারতের চিকেন নেক ঘেঁষা।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
হ্যাঁ, ওপার বাংলার লালমনিরহাট জেলা ভারতের চিকেন নেকের সাথে সংযুক্ত। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলটি পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি সংলগ্ন। ফলত, বাংলাদেশে চিনকে বিমান ঘাঁটি তৈরির অনুমতি দিয়ে দিল্লির উদ্বেগ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল ওপার বাংলার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
চিন সফরেই হয়ে গিয়েছিল পরিকল্পনা
সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। আর সেখানেই, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
সেই সাথে, ভারত বিরোধী সুর তুলে বিমানঘাঁটি থেকে শুরু করে চিনের সুবিধা হয় এমন যাবতীয় কার্যকলাপের জন্য বাংলাদেশের মাটি ব্যবহারের খুললাম-খুল্লা প্রস্তাব দিয়ে এসেছিলেন ইউনূস। এবার সেই সূত্র ধরেই, বাংলাদেশে বিমান ঘাঁটি তৈরির পথে হাঁটতে চলেছে চিন! যা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অস্বস্তির।
ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আঘাত!
চিন ও পাকিস্তানের মতো বিরোধী দেশগুলি চিরকালই ভারতের চিকেন নেকের ওপর নজর রেখে এসেছে। জানিয়ে রাখি, চিকেন নেক এলাকা মূলত উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে ভারতের বাকি অংশের সাথে যুক্ত করে। সেই সাথে এটি নেপাল, ভুটান, চিন ও বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত উত্তর-পূর্ব ভারতকে সংযুক্তকারী এই সরু করিডরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে আপাতত কোনও চিনা বিমান ঘাঁটি নেই।
অবশ্যই পড়ুন: IPL-র মাঝেই বিদায়? অবসরের কথা জানালেন ধোনি!
তবে সম্প্রতি ওপার বাংলার প্রধান চিনকে দেশের মাটিতে বিমান ঘাঁটি নির্মাণের যে অনুমতি দিয়েছেন, ভারতের কাছে কার্যত তা হুমকি স্বরূপ। কাজেই আগামী দিনে বাংলাদেশের মাটিতে চিনা বিমান ঘাঁটি তৈরি হলে তার প্রভাব যে ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুব ভালভাবে পড়বে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।