প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা যেন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। কিছুতেই গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না পুলিশ প্রশাসন। কিছুদিন আগেই লালবাজারের (Lalbazar) তরফ থেকে শহরে দুর্ঘটনার একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। সেই রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে শহরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৯১ জনের। তার মধ্যে ৫১ জনই মারা গিয়েছেন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে। ওই চার ঘণ্টায় পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৮৯ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকাল ৮টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে ৯৭টি।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
চালক এবং মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক
এর আগে ২০২৩ সালে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ১৭ জন, আহত হয়েছিলেন ২৯০ জন। তাই এই বছর যাতে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তাই কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শহরের সব ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসারদের। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে বাস চালক এবং বাস মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ।
বড় নির্দেশিকা লালবাজারের
কিন্তু তারপরও চালকদের গাড়ির গতিবেগ কিছুতেই ঠেকানো যায়নি। আর সেটা সম্পূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে এক্সাইড মোড়ে দুটি বাসের রেষারেষির ফলে যে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটেছে তা দেখেই। এরপরই কলকাতা পুলিশের তরফে শহরের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার জন্য জারি হল গাড়ির গতিবেগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা। সূত্রের খবর সেই নির্দেশিকায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, এজেসি বোস রোড, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, বাসন্তী হাইওয়ে, নিউটাউন, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের কানেক্টর, উত্তম কুমার সরণির মতো রাস্তায় ঘণ্টায় ৪০ কিমির বেশি গতিবেগে গাড়ি চালানো যাবে না।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এছাড়াও সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০ কিমি গতিবেগে গাড়ি চালানো যাবে কুল্টি রোড, কুলিতলা-জীবনতলা রোডে। একইভাবে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রি, আবু হুদা রোড, কালীঘাট রোডে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ২৫ কিমি। এদিন থেকেই এই নিয়ম কার্যকরী করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। সরকারি বা বেসরকারি কোনও চালক নির্দেশিকা ভাঙলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এবার দেখার পালা রাজ্যে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে লালবাজার পুলিশ কতটা সক্ষম হয়।