পরিবারের একমাত্র কন্যা হলে ৫০০০ টাকা স্কলারশিপ দেবে সরকার, চালু নয়া প্রকল্প
প্রীতি পোদ্দার, মুম্বই: দেশ তথা গোটা রাজ্যের উন্নতি ঠিক তখনই সম্ভব যখন সেই রাজ্য অথবা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগত ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে থাকবে। এইমুহুর্তে দেশের একাধিক রাজ্যে অনেক নাবালিকা রয়েছে যাঁরা বেশ মেধাবী। কিন্তু তাঁদের এই মেধা আর্থিক দুরাবস্থার কাছে অনেক সময় হেরে যায়। যার ফলে বেশ কিছু অঞ্চলে দেশের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনেকেই নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়। আর তাই এই সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে একমাত্র এবং অন্যতম উপায় হল শিক্ষা।
কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল-কলেজ স্তরে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়েদের বেশ কিছু বৃত্তি বা প্রকল্প দেওয়া হয়ে থাকে। ঠিক তেমনই কন্যাশিশুদের শিক্ষাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। চালু করা হয়েছে এক শিক্ষামূলক প্রকল্প। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। রাজ্যের মেয়েদের উন্নয়নের কথা ভেবে মহারাষ্ট্র সরকার (Madhya Pradesh Government) চালু করেছে ‘একক কন্যা সন্তানের জন্য শিক্ষা উন্নয়ন বৃত্তি প্রকল্প’। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতির জন্য কন্যাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা একমাত্র সেইসব মেয়েদের জন্যই দেওয়া হবে যারা বাবা মায়ের একক সন্তান এবং যাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।
জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগটি কেবল রাজ্যের কন্যাদের স্বাবলম্বী করবে না, বরং মেধার জোরে উচ্চ শিক্ষার প্রতিও তাদের অনুপ্রাণিত করবে। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন। এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন মধ্যপ্রদেশের স্থায়ী বাসিন্দা ও মহিলা ছাত্রী হতে হবে। এবং অবশ্যই আবেদনকারীকে তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হতে হবে। শিক্ষার্থীকে মধ্যপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৬০% বা তার বেশি নম্বর পেতে হবে। পাশাপাশি একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়তে হবে এবং স্কুলের টিউশন ফি প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকার কম হতে হবে।
এই প্রকল্পের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের প্রয়োজন। একক সন্তানের সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আধার কার্ড, বসবাসের শংসাপত্র, রেশন কার্ড, দশম/একাদশ শ্রেণীর মার্কশিট, ভোটার আইডি, ব্যাঙ্ক পাসবইয়ের কপি। জানা গিয়েছে এই প্রকল্পের অধীনে, যোগ্য আবেদনকারীদের বার্ষিক ৫,০০০ টাকা মূল্যের বৃত্তি প্রদান করা হবে এবং শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত চাহিদা যেমন বই, স্টেশনারি, কোচিং ইত্যাদি পূরণে সহায়তা করে।
এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের তাঁদের নিজস্ব বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়াটি অধ্যক্ষ কর্তৃক সম্পন্ন করতে হবে এবং শিক্ষার্থীর বিবরণ মধ্যপ্রদেশ শিক্ষা পোর্টালে তুলতে হবে। আবেদন করার আগে, অবশ্যই শিক্ষার্থীর প্রোফাইল আপডেট করে রাখতে হবে।
রিয়েলমি সম্প্রতি ভারতে দুটি বাজেট স্মার্টফোন নিয়ে এসেছে। এই দুটি হ্যান্ডসেট হল Realme Narzo 80…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: কলকাতার নাইট রাইডার্সের হারের মাঝেই ইতিহাস লিখলেন সুনীল নারিন! বাংলা নববর্ষের রাতে…
জনপ্রিয় ল্যাপটপ ব্র্যান্ড Acer শেষমেশ স্মার্টফোন বাজারে প্রবেশ করল। সংস্থাটি তাদের প্রথম স্মার্টফোন Acer Super…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সক্কাল সক্কাল ফের রেল অবরোধ (Rail Blockade) শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। অফিস টাইমে…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: তাইওয়ানের বিখ্যাত প্রযুক্তি সংস্থা ফক্সকন (Foxconn) আবারো ভারতের মাটিতে ব্যবসার বীজ বুনতে…
এমন একটা সময় ছিল, যখন ১ জিবি ডেটা কিনতে গেলে গুনতে হতো মোটা টাকা। কিন্তু…
This website uses cookies.