“পরিস্থিতি সামাল দিতে …” কসবার ঘটনায় জানাল কলকাতা পুলিশ, ক্ষুব্ধ মুখ্যসচিব
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে রাতারাতি চাকরি চলে গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার চাকরি প্রার্থীর। তাই এই চাকরি হারানোর প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযানে গিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বাকি জায়গার মতো কসবার ডিআই অফিসেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে বিক্ষোভ মিছিল এক চরম আকার ধারণ করে। পুলিশ নির্বিচারে চাকর হারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। যেহেতু মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড টপকে ডিআই অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাই সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় সকলের। অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে নিন্দার ঝড় ওঠে রাজ্য জুড়ে।
কসবার (Kasba Incident) পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার ধারণ করেছিল যে রীতিমত মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সহ কয়েকজন পুলিশকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। তবে এই ঘটনায় সকলেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তাঁদের দাবি শান্তিপূর্ণ এক মিছিলে প্রথমে পুলিসরাই মারধর করা শুরু করেছে। বিরোধীরাও তাতে সুর ছড়িয়েছে। তাই এই প্রসঙ্গে লালবাজারের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, “আজ কসবা ডিআই অফিসের বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে স্পষ্ট ভাবে জানানো হচ্ছে যে, প্রথমে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা বিনা উস্কানিতে পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং হিংসাত্মক আচরণ করে, যার মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীরাও ছিলেন। চার জন পুরুষ পুলিশকর্মী এবং দু’জন মহিলা পুলিশকর্মী আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”
এছাড়াও লালবাজারের সেই বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে যে, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আরও ক্ষয়ক্ষতি ও আহতের ঘটনা রোধ করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে হালকা বলপ্রয়োগ করে। এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।” নিজেদের বক্তব্য বিবৃতিতে প্রকাশ করার পরেই নবান্নে মুখ্যসচিব এবং পুলিশ কমিশনারের সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা কসবার ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “প্রথমে বিনা উস্কানিতেই পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। তাতে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ছ’জন আহত হয়েছে এবং এক জন গুরুতর আহত হয়েছে। তবে আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের লাথি মারার যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। যে ভিডিয়োটা দেখানো হচ্ছে, তার আগেও কিছু রয়েছে। সেটাও দেখা উচিত। আমরা দেখছি।”
এদিকে কসবার এই ঘটনায় খানিক ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি বলেন, “সরকারি সম্পত্তি যদি ভাঙচুর হয়, পুলিশকে যদি বিনা কারণে মারধর করা হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা ও পরিস্থিতি রক্ষায় পুলিশকে তো পদক্ষেপ করতেই হবে। সেক্ষেত্রে তাই গোটা ঘটনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তদন্ত করা হচ্ছে। ”এদিকে পুলিশের লাঠির ঘায়ে কয়েক জন আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে চাকরিহারা এক শিক্ষক জানিয়েছেন যে, ‘‘আমরা যোগ্য, তাই চাকরিহারা হয়ে আজ রাজপথে আন্দোলন করছি। পুলিশ আমাদের নির্বিচারে লাঠি মেরেছে।’’
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
নুবিয়া সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে যে তারা আগামী ২৮ এপ্রিল চীনে Nubia Z70S Ultra Photographer Edition…
গোটা দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে 5G নেটওয়ার্ক। প্রথমে Reliance Jio এবং Airtel তাদের গ্রাহকদের…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এমন একটা সময় ছিল, যখন দিল্লি থেকে মুম্বাই বা গুরগাঁও থেকে বড়োদরার…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত সপ্তাহ থেকেই সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বাংলা জুড়ে হিংসার আগুন জ্বলে…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কখনো কি ভেবে দেখেছেন, অনলাইনে কিছু কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রতিবার আর ইউপিআই…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দেশীয় পরিবহন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ভারতীয় রেল। রেলপথে জুড়েছে প্রায় 8…
This website uses cookies.