বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে অমুসলিম পর্যটকদের হত্যা করেছে পাক জঙ্গিরা। আর এই ঘটনার পরই দেশবাসীর মধ্যে পুঞ্জিভূত হচ্ছে ক্ষোভ। দেশের নানান প্রান্তে মুসলিম বিরোধী স্লোগান তুলছেন অনেকেই! ইতিমধ্যেই দেশের বহু এলাকায় ইসলাম ধর্মালম্বীদের বয়কটের ডাকও দেওয়া হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
এহেন আবহে সমগোত্রীয় ছবি উঠে আসছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকেও। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে (VIRAL VIDEO), গাজিয়াবাদের সিরাউলি গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবককে মুসলিম বিরোধী স্লোগান তুলতে দেখা গিয়েছে। সেই সাথেই, ইসলাম ধর্মালম্বী সকল হকার বলা চলে অ-হিন্দু ব্যক্তিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছেন তাঁরা। যেই দৃশ্য এখন সমাজ মাধ্যমে হুহু করে বইছে।
গাজিয়াবাদে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা!
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের সিরাউলি গ্রামের বেশ কয়েকজন হিন্দু যুবককে বলতে শোনা যায়, গাজিয়াবাদে মুসলিমদের অবাধ বিচরণ নিষিদ্ধ করার জন্য আগামীকাল সকাল 11 টায় গেটের সামনে হাজির হওয়া উচিত।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কোনও মুসলিম ফেরিওয়ালাকে আর আমাদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এমন বক্তব্যের পরই, 7 জন যুবক একত্রিতভাবে মুসলিম বিরোধী স্লোগান তোলেন। যেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হতেই আশঙ্কায় রয়েছেন ইসলাম ধর্মালম্বীরা! কেউ কেউ আবার এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। যদিও, পহেলগাঁও হামলার যন্ত্রণা গায়ে মেখে নেট নাগরিকদের অনেকেই, মুসলিমদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন! দাবি উঠছে অ-হিন্দু বাতিলেরও!
Ghaziabad, Siroli Village.
Muslims were barred from entering the village,Poor laborers, vegetable vendors, and hawkers were asked their names and forced to leave.@Uppolice must take strict action lawlessness and hate cannot be allowed to rule. pic.twitter.com/t02Sg2ZDLE
— هارون خان (@iamharunkhan) April 25, 2025
অবশ্যই পড়ুন: পাকিস্তানের সাথে চলা উত্তেজনার মাঝে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ভারতের
বিজেপি মন্ত্রীর বড় বক্তব্য
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বিজেপি মন্ত্রী নীতেশ রানে দেশের অ-হিন্দু বলা চলে ইসলাম ধর্মালম্বীদের নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন! পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের ওই মন্ত্রী জানান, আমি সকল হিন্দু ভাই বোনেদের অনুরোধ করব কোনও ফেরিওয়ালা বা দোকানদারের কাছ থেকে কিছু কেনার আগে তাকে হনুমান চালিশা পাঠ করার আবেদন করুন।
বিজেপি মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কাশ্মীর সম্পর্কে জেনেছি, পহেলগাঁওয়ে ঠিক কী হয়েছে আমরা প্রত্যেকেই জানি! রানে মূলত অমুসলিমদের বেছে বেছে হত্যা করার বিষয়টিকে সামনে এনে জানান, আমরা আর কতদিন সহ্য করব? এই ধরনের নাটক আর কতদিন চলবে? পাকিস্তান সমর্থিত জিহাদীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য হিন্দু সমাজকে তৈরি থাকতে হবে।