বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আততায়ীর গুলিতে নিহত পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-র আন্ডারকাভার এজেন্ট মুফতি শাহ মীর (Pakistani ISI Agent)। জানা গিয়েছে, ভারতের নাগরিক কুলভূষণ যাদবের অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই পাকিস্তানি এজেন্ট। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে মাঝেমধ্যেই যাতায়াত ছিল শাহ মীরের। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই পাকিস্তানি এজেন্টিই বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদিদের চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করাতেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
পাক সেনাবাহিনীকে তথ্য দিতেন শাহ মীর?
বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের জাত শত্রু তথা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-র অন্যতম সদস্য মুফতি শাহ মীর মূলত ছদ্মবেশে বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে প্রবেশ করে সেখান থেকে যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে পৌঁছে দেন।
বেশ কিছু সূত্র বলছে, সম্প্রতি একজন সন্ত্রাসবাদি হিসেবে আফগানিস্তানের বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়েছিলেন শাহ মীর। এরপর তাদের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে পাক সেনাবাহিনীর কাছে পাচার করতেন তিনি। এমনকি এও জানা গিয়েছে, বহু আগে পাকিস্তানে থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা গোষ্ঠীগুলি সম্পর্কে ISI-কে যাবতীয় তথ্য দিতেন এই মীরই। তবে শেষ রক্ষা হলো না। অজানা আততায়ীর গুলিতে প্রাণ গেল পাকিস্তানের শুভাকাঙ্ক্ষী তথা জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘরের লোক, ISI কর্মী শাহ মীরের।
মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েই মৃত্যু
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি তুরবত এলাকার এক মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন ISI কর্মী শাহ মীর। প্রার্থনা করে বেরিয়ে আসবেন এমন সময় অজ্ঞাত পরিচয় এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গুপ্তচর তথা কর্মী মুফতি শাহ মীর।
অবশ্যই পড়ুন: ভেঙ্কটেশের দাম তুলতেই IPL টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি? KKR-কে কাঠগড়ায় তুলল সমর্থকরা
পুলিশ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের আজিজ মসজিদের ভিতরে নামাজ পড়ছিলেন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার ঐ কর্মী। প্রার্থনা সেরে বেরিয়ে আসবেন এমন সময়ে দুই অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারী মসজিদের সামনে এসে হাজির হয়। তাদের মধ্যে এক দুর্বৃত্তের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মুফতি শাহ মীরের। জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কে বা কারা দায়ী সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা।