বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বালুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি, এরই মধ্যে নতুন করে চিন্তা বাড়ল পাক সেনার। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে কার্যত হামলা চালিয়েছে BLA। হ্যাঁ, জানা যাচ্ছে, রবিবার কোয়েটা থেকে তফতানগামী একটি পাকিস্তানি সেনা কনভয়ের ওপর জোরালো হামলা চালায় বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। যার জেরে কমপক্ষে 7 পাক সেনা জাওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
BLA-র আক্রমণে ঘুম উড়ল পাক সেনার
সম্প্রতি জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে 214 জন পাক সেনা সদস্যকে হত্যা করার খবর জানিয়েছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র জিয়ান বালুচ। এহেন আবহে যেন পাক সেনার পিছু ছাড়ছে না BLA। রবিবার কোয়েটা থেকে তফতান যাচ্ছিল পাকিস্তানি সেনারা। যে খবর পেতেই সেনাপ্রধানদের কনভয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় বালুচ সন্ত্রাসীরা।
সূত্রের খবর, বালুচদের এই ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে শতাধিক সেনা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। একই সাথে মৃত্যু হয়েছে 7 সেনা জওয়ানের। যদিও পাকিস্তানি সেনার তরফে 21 জনের আহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছিল। তবে সেই দাবিকে নস্যাৎ করে বালুচ সন্ত্রাসীরা জানায় 90 জনের প্রাণ নিয়েছে তারা। বালুচ সন্ত্রাসীদের এমন বাড়বাড়ন্তে ঘুম উড়েছে পাকিস্তানি সেনা কর্তাদের।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বিবৃতি জারি করেছে BLA
রবিবারের হামলার পরই তড়িঘড়ি একটি বিবৃতি জারি করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি জানায়, বালুচ লিবারেশন আর্মির মাজিদ ব্রিগেড, কয়েক ঘন্টা আগে নোশকি এলাকার রাখশান মিলের কাছে পাক সেনার কনভয়ে জোরালো হামলা চালায়। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি জানিয়েছে, পাক সেনার সেই কনভয়ে মোট 8টি বাস ছিল। বালুচদের দাবি, বোমা মেরে সবকটি বাসই উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
ঠিক কী জানিয়েছে পাকিস্তানি সেনা?
BLA-র পাশাপাশি হামলার ঘটনা ঘটার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বিবৃতি জারি করে পাকিস্তানের এক সেনাকর্তা দাবি করেন, রবিবার কোয়েটা থেকে তাফতান যাচ্ছিল ওই সেনা কনভয়। পাক সেনার কনভয়ে মূলত 7টি বাস ও সেনা কর্তাদের দুটি গাড়ি ছিল। সেই সমেয়ই আচমকা বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে সেনা জওয়ানদের বাসে।
অবশ্যই পড়ুন: মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ভাগ্য বদল! লটারি কেটে কোটিপতি হবেন এই ৭ রাশি
আর তাতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। পাক সেনাকর্তার তরফে জানানো হয়, বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি দিয়ে হামলা করার পাশাপাশি সেনাদের গাড়িতে রকেট হামলাও চালাচ্ছিল দুর্বৃত্তরা। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা।