পৃথিবীর থেকে ৫ গুণ বড়! মহাকাশে হিরের গ্রহ অবিস্কার NASA-র বিজ্ঞানীদের

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মহাকাশে হিরের ছড়াছড়ি! যেন আলোকোজ্জ্বল হিরের পাহাড়! তার বহিরঙ্গ ও অন্তরঙ্গ দুইই হিরে দ্বারা পরিপূর্ণ! তাল তাল হিরে! এ যেন এক অন্য পৃথিবী! পৃথিবী? পৃথিবীতে এত হিরে আছে? নাসার (NASA) বিজ্ঞানীরা বলছেন, বহুমূল্য হিরেতে ঠাসা এই মহাকাশ বস্তু বলা ভাল গ্রহটি পৃথিবীর 5 গুণ। কৌতূহলের বশে জানা গেল, ভুরি ভুরি হিরেতে ঠাসা এই মহাকাশীয় বস্তুটির নাম PSR J1719-1438b। যদিও মহাকাশ গঙ্গায় এটিই একমাত্র দীর্ঘ আলোর পৃথিবী নয়! সেখানে নাকি আরও একটি হিরে খচিত গ্রহের উপলব্ধি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। নাম, 55 ক্যানক্রি ই।


গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন

Join Now

হিরের আরেক বৃহৎ পৃথিবী

তার জাঁক-জৌলুসকে টেক্কা দেবে এমন বিকল্প কোথায়? আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, PSR J1719-1438b নাকি একসময় বিরাট নক্ষত্রের অংশ ছিল। এটির বাইরের অংশ, ত্বক অর্থাৎ স্তর গুলি একটি নিউট্রন দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউট্রন আলাদা হয়ে যাওয়ায় একটি কার্বন সমৃদ্ধ কোর তৈরি হয়।

READ MORE:  বাড়বে কুয়াশা, ফের পারদ পতন রাজ্যে, কেমন থাকবে আগামী ক’দিনের আবহাওয়া?

কীভাবে তৈরি হলো এত হিরে ? মহাকাশে হিরের উপস্থিতি নিয়ে কাঁটাছেড়া করা যথেষ্ট জটিল কাজ। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সময়ের সাথে সাথে প্রচন্ড চাপ ও তাপে এই কার্বন সমৃদ্ধ কোরটি গ্রহটিকে হিরের সমুদ্রে রূপান্তরিত করেছে। যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আগ্রহকে নতুনভাবে নাড়া দেবে।


বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে

Join Now

নাসার চোখে 55 ক্যানক্রি ই

গত বছর অর্থাৎ 2024 বর্ষে ঠিক একই পন্থা অবলম্বন করে মহাকাশ বিশ্বে হিরে খচিত একটি নতুন গ্রহের সন্ধান পান নাসার বিজ্ঞানীরা। জানা যায়, পৃথিবী থেকে কমপক্ষে 41 আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই হিরের টুকরো গ্রহ, বলা ভাল ডায়মন্ড প্ল্যানেট 55 ক্যানক্রি ই সুপার আর্থ আবিষ্কার করে ফেলে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

READ MORE:  শিক্ষাক্ষেত্রে অনাচার! ছাত্রের জন্মদিনে ক্লাসেই চলল মদ্যপান, উপস্থিত অধ্যাপিকা

এই গ্রহের বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর তুলনায় অনেকাংশেই এগিয়ে। বিজ্ঞানীরা জানান, এই হিরের অতল সাগর পৃথিবীর প্রস্থের দ্বিগুণ। সেই সাথে এটির ওজনও মানব পৃথিবীর 9 গুণ। আর কিছু জানা গেল? হ্যাঁ, বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ বলছেন, 55 ক্যানক্রি ই তার পরিচালক নক্ষত্রটিকে মাত্র 17 ঘণ্টার মধ্যে প্রদক্ষিণ করে ফেলে। একই সাথে এটি প্রদক্ষিণ পর্বে প্রবল তাপ অনুভব করে। কয়েকটি রিপোর্ট বলছে, গ্রহটির পৃষ্ঠের তাপমাত্রা নাকি 2400 ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা যেকোনও ভূদৃশ্যকে গলিত লাভায় পরিণত করতে যথেষ্ট।

অবশ্যই পড়ুন: ৪ ঘণ্টায় সারবে ৯০ শতাংশ ক্ষত, তৈরি হবে নতুন ত্বক! আর্টিফিশিয়াল স্কিন টেকনোলজিতে বিপ্লব

কতটা হিরে রয়েছে এই খনিতে?

55 ক্যানক্রি ই-র হিরের গঠন সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো! দীর্ঘ গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই গ্রহটির ভরের এক তৃতীয় অংশ হিরে দ্বারা গঠিত। হুজুকের বশে জানা গেল, পৃথিবীতে পাওয়া জল ও পাথরের পরিবর্তে এটি শুধুই গ্রাফাইট ও বহুমূল্য হিরে দ্বারা আবৃত।

READ MORE:  Dubai Gold Price: ভারতের থেকে দুবাইতে কতটা সস্তা সোনা? জেনে নিন ইমপোর্ট ডিউটি ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কেও | Dubai Vs India Gold Price

কিন্তু মহাকাশ বিশ্বে এত হিরের উপস্থিত কীভাবে? তা জানতেই দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের পরিকল্পনাপ্রসূত অধ্যায়ন ও গবেষণা আগামী দিনে মহাকাশে হিরের উপস্থিতি নিয়ে বিরাট তথ্য উন্মোচন করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

Scroll to Top