শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে রীতিমতো ভিড় বাড়ছে রোগীদের। সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল, সকলের উপসর্গ আবার কোভিড ১৯-এর মতো। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি করোনা আবার ইউটার্ন মেরে ফিরে এল? দিল্লি-এনসিআর-এ ভাইরাল সংক্রমণের ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
করোনা ফিরে এল?
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এই ঘটনাগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ জ্বর, কাশি, শরীরে ব্যথা এবং দীর্ঘক্ষণ ক্লান্তির অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। অনেকের ক্ষেত্রে, এই লক্ষণগুলি ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে। সাধারণত এই ঋতুতে মৌসুমি ফ্লুর ঘটনা সাধারণ, কিন্তু এই বছর সংক্রমণের তীব্রতা গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক এক সার্ভেতে এই বিষয়ে উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান প্রকাশ পেয়েছে।
এই তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি-এনসিআর-এর ৫৪% পরিবারের মধ্যে বর্তমানে এক বা একাধিক মানুষ ফ্লু বা কোভিডের মতো লক্ষণ অনুভব করছেন। এই ভাইরাল সংক্রমণটি সঠিকভাবে বোঝার জন্য, দিল্লি, গুরুগ্রাম, নয়ডা, ফরিদাবাদ এবং গাজিয়াবাদে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ১৩,০০০ এরও বেশি লোক উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ৬৩% পুরুষ এবং ৩৭% মহিলা ছিলেন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
সমীক্ষায় চাঞ্চল্য
৯% মানুষ জানিয়েছেন যে তাদের পরিবারের চার বা তার বেশি লোক অসুস্থ ছিলেন। ৪৫% বলেছেন যে দুই থেকে তিনজন সদস্য ফ্লুর লক্ষণ অনুভব করছেন। ৩৬% জানিয়েছেন যে তাদের বাড়িতে কোনও রোগ ছিল না যদিও, ১০% কোনও স্পষ্ট উত্তর দেননি।
ঝুঁকির সম্ভাবনা বেশি কাদের?
শিশু এবং নবজাতক
সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল
হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, সিওপিডি বা হৃদরোগের মতো রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা
কী কী লক্ষণ দেখা যাচ্ছে?
দিল্লি এনসিআর-এ ক্রমবর্ধমান এই ফ্লু কেসের মধ্যে এক বা একাধিক কোভিড/ফ্লু/ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, কাশি, মাথাব্যথা, পেটের সমস্যা, জয়েন্টে ব্যথা, শরীরে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
ফের মাস্ক পরার পরামর্শ
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরে কোভিডের মতো উপসর্গ থাকলেও, করোনার আউটব্রেক হয়নি। কেউ সোয়াইন ফ্লু, তো কেউ ইনফ্লুয়েঞ্জা বি-তে আক্রান্ত হয়েছেন। সববয়সিরাই দুই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে, রোগীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। এদিকে আপাতত সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।