লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার ভোরে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আগুন প্রথমে কার্গো টার্মিনাল এলাকা থেকে শুরু হয় এবং দ্রুত অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চারপাশে ধোঁয়ার মেঘ সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা ও বিমানবন্দরের কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং দ্রুত স্থানত্যাগ করতে বাধ্য হন। অগ্নি নির্বাপক বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়, তবে ততক্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে যায়।
এদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক ফ্লাইট বাতিল এবং কয়েকটি ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে স্থানান্তর করা হয়। অনেক যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়েন এবং তাদের যথাযথ নির্দেশনা না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি, তবে তদন্ত চলছে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্গো পরিষেবা এবং যাত্রী টার্মিনালের কার্যক্রম পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে। তবে এখনো পুরোপুরি বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বিমানবন্দরের একটি বড় অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে নিরাপত্তার কারণে।
এই ঘটনা নতুন করে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আগুন লাগার কারণ হিসেবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা অন্য কোনো কারিগরি ত্রুটির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট আসার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।
লাহোরের এই ঘটনা আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উড়ান পরিষেবার উপর প্রভাব ফেলেছে। যাত্রীদের যথাসময়ে তাদের ফ্লাইট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।