প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০১৭ সালে আবাস প্রকল্পের তদারকিতে আবাস-বন্ধু (Awas Bandhu) নিযুক্ত করেছিল বিভিন্ন পঞ্চায়েত। প্রকল্পের টাকায় ঘরের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে, ঠিকমতো করা হচ্ছে কিনা, সেই সব কিছু নজরে রাখা হত। যার বিনিময়ে আবাস-বন্ধুদের ঘরপ্রতি নজরদারির জন্য মজুরি দেওয়া হত। এদিকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকার ওই প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ করার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য সরকারের তরফে ঘর তৈরির টাকা দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের শেষের দিকে উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হলেও বেশ সমস্যায় ভুগছে প্রশাসন। কারণ প্রকল্পের ঘর তৈরির কাজে তদারকির জন্য নেই পর্যাপ্ত লোক।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
পর্যাপ্ত নেই আবাস বন্ধু
এদিকে পর্যাপ্ত আবাস বন্ধু না থাকায় প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা হাতে পেলেও উপভোক্তাদের অনেকে দোটানায় পড়ছেন। বাড়ির নকশা নিয়েও চলছে দোটানা। বাড়ির উচ্চতা, কতটা পাকা দেওয়াল হবে বা ঘরের নকশা কেমন হবে তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এদিকে বহুদিন অপেক্ষা করে কোনো সুরাহা না মেলায় অনেকে নিজেদের মতো করে ঘর তৈরির পরিকল্পনা করছেন। তবে নিজের মত ঘর বানালেও সমস্যা রয়েছে প্রচুর। দেখা গেল উপভোক্তাদের প্ল্যান মাফিক নির্মিত বাড়ি সরকারের নিয়মের বাইরে হয়ে গেলে সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে।
তিন বছরের বকেয়া ‘আবাস বন্ধু’দের
এদিকে এই প্রকল্পকে ঘিরে আবাস বন্ধুদের অভিযোগ, তিন বছর ধরে তাঁরা কোনো উৎসাহ ভাতা পাচ্ছেন না। রাজ্য জুড়ে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি ‘আবাস বন্ধু’ রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের দাবি, ২০১৯-২০, ২০২০২০-২১, ২০২১-২২ এই তিন অর্থবর্ষে ভাতার টাকা একদমই মেলেনি। যার ফলে উৎসাহ ভাতার বকেয়া পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে যদিও প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিল আবাস বন্ধুরা। কিন্তু প্রশাসন এব্যাপারে কোনো সুরাহা দেয়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই গত ৮ এপ্রিল সল্টলেকে পঞ্চায়েত দফতরে স্মারকলিপি জমা দেয় সংগঠনের প্রতিনিধি দল। বিক্ষোভও দেখায় দলটি।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এদিকে এই অভিযোগের ভিত্তিতে আবাস বন্ধু সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শেখ আবদুল্লা বলেন, ‘‘২০১৮ সালে আমাদের দিয়ে আবাসের সমীক্ষা করানো হয়। এখন আবাসের কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু আমাদের কাজে নেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয় তিন বছরের বকেয়া এখনও পাইনি আমরা। এক এক জনের প্রায় ৪-৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে। প্রশাসনের কাছে গোটা বিষয় জানালে এখনও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। ’’ এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত জানান, ‘‘কেন ওঁরা তিন বছরের বকেয়া ভাতা পাননি, তা খোঁজ করে দেখছি আমরা।’’
অন্যদিকে আবাস প্রকল্পের কাজে দ্রুততা আনতে উপভোক্তাদের সমস্যা মেটাতে প্রতিটি পঞ্চায়েতের কর্মীদের দিয়ে বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। তাঁরাই আবাস বন্ধুদের মত বাড়ি তৈরি থেকে শেষ পর্যন্ত তদারকি করছেন। অন্য দিকে, পঞ্চায়েতগুলিতে কর্মী কম থাকায় সাগর ব্লক প্রশাসন নিজেদের উদ্যোগে আবাস বন্ধুদের কাজে লাগিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের সঙ্গে ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।