সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) প্রতি নিত্য যাত্রীদের ভরসা বাড়ছে। আগেও ছিল, কিন্তু এখন যেন সেই পরিমাণটা এক লাফে আরও বেশ খানিকটা বেড়েছে। এর কারণ অবশ্যই মেট্রোর বিস্তৃতি। এখন উত্তর হোক বা দক্ষিণ কিংবা পশ্চিম, সব জায়গায় ছুটে চলেছে মেট্রো। আগামী দিনে আরও বেশ কিছু রুটে মেট্রো চালানোর প্ল্যান রয়েছে বলে খবর। তবে এসবের মাঝেই নবান্নের কাছে ৪টি মেট্রো স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব দেওয়া হল। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
৪ মেট্রো স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব নবান্নের কাছে
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে তাহলে রাজ্যের কাছে কোন কোন মেট্রো স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব গিয়েছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, যে যে স্টেশনের প্রস্তাব গিয়েছে সেগুলি এখনও অবধি চালু হয়নি। তবে ব্যতিক্রমী মহাকরণ। যাইহোক, নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর রুটের জয়হিন্দ, জোকা-ধর্মতলা প্রকল্পের খিদিরপুর, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর প্রকল্পের মধ্যে থাকা ভিআইপি রোড/তেঘরিয়া এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান, শিয়ালদা, মহাকরণের মধ্যে যে কোনও মেট্রো স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের কাছে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই স্টেশনগুলির নাম বদলে কী রাখা উচিৎ সেটিও রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বড় সিদ্ধান্ত নেবে রেল?
সূত্রের খবর, খিদিরপুর মেট্রো স্টেশনের নাম বদলে সেন্ট থমাস স্কুল খিদিরপুর কিংবা খিদিরপুর সেন্ট থমাস স্কুল, ভিআইপি রোড/তেঘরিয়া স্টেশনের নাম বদলে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর এই প্রস্তাব নবান্নের কাছে পাঠিয়েছে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ, শ্রীধাম ঠাকুরনগর, ঠাকুরবাড়ি এবং তেঘরিয়ার রেবতী রঞ্জন রায়।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
অন্যদিকে কিশোর কুমার ফ্যান ক্লাব (ডানলপ)-এর তরফে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া-ময়দান, এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদা, মহাকরণের মধ্যে যে কোনও একটি স্টেশনের নাম কিশোর কুমারের নামে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ‘জয়হিন্দ’ মেট্রো স্টেশনের নাম জয়হিন্দ বিমানবন্দর রাখার প্রস্তাব তুলেছেন খোদ মেট্রর চিফ অপারেশন ম্যানেজার। অনেকেই হয়তো জানেন না যে মাটির নিচে এশিয়ার বৃহত্তম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন হচ্ছে এটি। যাইহোক, বিষয়টি এখন প্রস্তাবনার স্তরে রয়েছে। যেহেতু এই নাম বদলের বিষয়টি রাজ্যই দেখে সেজন্য রাজ্যের কাছে প্রথমে এই প্রস্তাব এসেছে। এরপর তা অনুমোদন মিললে অর্থ দফতরে যাবে। তবে কফিনের শেষ পেরেক অর্থাৎ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রেল মন্ত্রকই নেবে।