বর্ষা বাদে পাকিস্তানকে দেওয়া হবে না শতদ্রুর জল, সংসদে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ সাধারণত শতদ্রু ও বিয়াস নদীর জল পাকিস্তানে পাঠানো হয় না। এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে লোকসভায় এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জলবিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী রাজ ভূষণ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণত বর্ষার সময় এবং বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতেই এই দুই নদীর জল পাকিস্তানে পাঠানো হয়। ভারত পাকিস্তান জল বণ্টন নিয়েও মাঝেমধ্যে বিতর্ক দেখা দেয়, ওঠে প্রশ্ন। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে জল বণ্টন চুক্তি। মোট ছয়টি নদীকে নিয়ে চুক্তিটি করা হয়েছে। এই ছয় ছয় নদীর মধ্যে রয়েছে শতদ্রু ও বিয়স।


আমাদের সাথে যুক্ত হন

Join Now

ভারত-পাকিস্তান জল বন্টন

বর্ষাকালে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে অনেক সময় জলস্তর বৃদ্ধি পায়। সেই সময় রিজার্ভারের জল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তখন এই দুই নদীর জল পাঠানো হয় পাকিস্তানে। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল বণ্টন চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। তখন থেকেই চুক্তি মোতাবেক নদীর জল ভাগ করা হচ্ছে। তিনটি নদী ভারতের নিয়ন্ত্রণে এবং তিনটি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অর্থাৎ মোট ছয়টি নদীকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে জল ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা মেটানোর জন্য এই চুক্তি করা হয়েছিল।

READ MORE:  Ajker Rashifal 2nd February: শ্রাবণ নক্ষত্রে কপাল খুলে যাবে এই রাশির, আজকের রাশিফল

দুই দেশের চুক্তি

সেই চুক্তি অনুযায়ী নদীর জল ভাগ করা হয়। বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগ এবং প্রায় ৯ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পর, এই চুক্তি অবশেষে বাস্তব রূপ লাভ করেছিল। চুক্তিতে সই করা হয়েছিল ১৯৬০ সালের সেপটেম্বরের ১৯ তারিখে পাকিস্তানের করাচির চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান। চুক্তি অনুযায়ী ছয়টি নদীকে পূর্ব ও পশ্চিমে ভাগ করা হয়েছিল। ভারতের অধীনে পূর্বের ৩ নদী – রবি, বিয়াস এবং শতদ্রু। আর পাকিস্তানের অধীনে রয়েছে সিন্ধু, চেনাব এবং ঝিলাম।

READ MORE:  হাওড়া থেকে NJP মাত্র ৩০ মিনিটে, IIT-র হাত ধরে বদলে যাবে ভারতীয় রেল
Scroll to Top