বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি চিন সফরে অভিভাবকত্ব ফলাতে গিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতকে বদ্ধ এলাকা বলে দাবি করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। মূলত, নিজেদের সমুদ্রের অভিভাবক দেখিয়ে ভারতকে কার্যত ঠুকেছিলেন তিনি। সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই এবার সেই বড়বারন্তের মাসুল গুনতে হল ইউনূসকে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির সহায়ক ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বাংলাদেশকে যোগ্য জবাব ভারতের?
বাংলাদেশ এতদিন মূলত ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির কাজ করত। ইউনূসের দেশটিকে এই ক্ষমতা স্বইচ্ছায় দিয়েছিল ভারত (India) সরকার। মূলত প্রতিবেশী দেশের প্রতি সহানুভূতি ও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেই অন্যান্য সময়ের মতো 2020 সালেও সৌজন্যের নজির রেখেছিল ভারত।
সেবার 29 জুন তারিখে বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত পোশাকজাত দ্রব্য যাতে প্রতিবেশী দেশগুলিতে সহজে রপ্তানি করা যায় সেজন্য বাংলাদেশকে ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে ভারতীয় সুবিধা নেওয়া সত্বেও, প্রতিবেশীকে ক্রমাগত আক্রমণ করে গেছে ওপার বাংলার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর সম্ভবত সেই কারণেই বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করল ভারত।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
নিজের ভুলেই বড় সুবিধা খোয়ালেন ইউনূস!
সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বাংলাদেশে চিনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন কূটনৈতিক আলোচনা সেরে এসেছেন ইউনূস। তবে চিন সফরকালে ড্রাগনের দেশে দাঁড়িয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে বদ্ধ এলাকা বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
সেই সাথে নিজেদের সমুদ্রের অভিভাবক দেখিয়ে ইউনূস বলেছিলেন, বাংলাদেশ ছাড়া উত্তর-পূর্ব সমুদ্রে প্রবেশ করার কোনও উপায় নেই ভারতের। আর এরপরই ইউনূসকে একেবারে চাঁচাছোলা জবাব দিয়েছিলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মন্ত্রী জানান, বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূল রেখা রয়েছে। যা প্রায় 6,500 কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
সেই সাথেই বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ভারত শুধুমাত্র বিমসটেকের 5 দেশের সাথেই সীমানা ভাগাভাগি করেনা। পাশাপাশি দেশগুলিকে জলপথে, সড়কপথে, রেলপথে সংযুক্ত করে। সমুদ্রে ভারতের অসংখ্য গ্ৰিড ও পাইপলাইন রয়েছে। বিদেশ মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর নাকি সুদূর ব্যাঙ্ককে পার্শ্ব সম্মেলনের মাঝে ইউনূসকে পাশে বসিয়ে বুঝিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও।
অবশ্যই পড়ুন: বকেয়া না দিলে বিদ্যুৎ কেটে দেব, পাকিস্তানকে জোর হুমকি! নাক কাটল প্রতিবেশীর
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী দিনে এমন কু মন্তব্য করলে দিল্লির সাথে ঢাকার সম্পর্ক খারাপ হবে! ভারতের তরফে যাবতীয় পদক্ষেপের পর অবশেষে 8 এপ্রিল, বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছে কেন্দ্র। আর এই সিদ্ধান্তের পরই মুখে না বললেও, যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে ইউনূসের সরকার।