শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের এক ফরমানে রাতের ঘুম উড়ল বাংলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলিকে কেবল বি.এড কলেজ হিসেবে পরিচালিত করা যাবে না। যেসব কলেজে কলা ও বিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়, সেখানে B.eD কোর্স চালু থাকবে। একই সঙ্গে ডিগ্রি এবং বি.এড উভয়ই পাওয়া যাবে। উচ্চশিক্ষা ডিগ্রি বিষয় বা এম.এড হতে পারে। বি.এডের জন্য একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা পরিষদ (এনসিটিই) কর্তৃক প্রকাশিত খসড়া নীতিতে এই ধরনের সংস্কার রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা পরিষদের NCTE রেগুলেশন-২০২৫ অনুমোদন করেছে। এই অনুমোদনের পর, স্কুল শিক্ষক হওয়ার জন্য পড়াশোনার নিয়মে পরিবর্তনের সবুজ সংকেত মিলেছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে বি.এড.-এর ফর্ম্যাট এবং সিলেবাস পরিবর্তিত হবে। এর জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। NCTE রেগুলেশন-২০২৫ এর খসড়া রাজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠানো হয়েছে। ৮ মার্চ পর্যন্ত আপত্তি নথিভুক্ত করা যাবে। এর পরে কোন আপত্তি গ্রহণ করা হবে না।
প্রায় ১১ বছর পর শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রমে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এতে পিজি-র পর এক বছরের বি.এড, স্নাতক ডিগ্রির পর দুই বছরের বি.এড, প্লাস টু-র পর চার বছরের বি.এড এবং এম.এড ডিগ্রি অধ্যয়নের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিষয় হলো, দশ বছর পর, আগামী বছর থেকে আবার এক বছরের বি.এড ডিগ্রি প্রোগ্রাম শুরু হচ্ছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বন্ধের মুখে বাংলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান!
ডিএলএড বা বিএড কলেজ, এ ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাধারণ ডিগ্রি কলেজের মতো বিএ, বিএসসি বা বিকমের মতো কোর্স করাতে হবে। না হলে নয়া পদ্ধতির শিক্ষক শিক্ষণ কোর্স (আইটিইপি) চালুর অনুমতি মিলবে না। আর, এর ফলেই রাজ্যের প্রায় ১২০০ সরকারি এবং বেসরকারি বিএড-ডিএলএড কলেজ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা।
বলা হচ্ছে, এনসিটিই যে যোগ্যতাবিধি বেঁধে দিয়েছে, তাতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই উত্তীর্ণ হতে পারবে না। আর তেমনই আশঙ্কা করছে বাংলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক মহলের একাংশ বলছে, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির মাল্টিডিসিপ্লিনারি নীতিটিই গোলমেলে। অন্তত পরিকাঠামো উন্নয়ন না করে ভারতের মতো দেশে এটা কার্যকর করতে গিয়ে ক্ষতিই হচ্ছে।