ফাল্গুনের শেষ থেকেই গরমের তীব্রতা আঁচ করেছিল বঙ্গবাসী। তীব্র দাবদাহে রীতিমতো হাঁসফাঁস করা গরম। আবহাওয়ার অত্যন্ত আদ্রতা সহ্য হচ্ছে না বঙ্গবাসীর। বেলা বাড়তেই ঝাঁ ঝাঁ করা রোদ্দুর। দারুণ রকমের উত্তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেরোনো দায়।
অত্যন্ত গরমের ফলে অল্প পরিশ্রমের ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে শরীর। মার্চ মাস যেন এপ্রিল, মে মাসের ভয় ধরাচ্ছে। মার্চ মাসেই যদি এই অবস্থা হয়? তাহলে আগামী ২ মাসে কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে বাংলার আবহাওয়া? রীতিমতো আতঙ্কে সবাই।
ইতিমধ্যেই গরমের কারণে রাস্তাঘাটে বেরিয়ে মানুষজনের অসুস্থতার খবর শোনা যাচ্ছে। এই তীব্র দাবদাহ থেকে কবে মিলবে স্বস্তি? কবে নামবে শান্তির বৃষ্টি? যদিও কতকাল হঠাৎই কলকাতার আকাশে মেঘের গর্জন শোনা গেছে। এমনকি দু-চার ফোঁটা বৃষ্টিও পড়েছে। কিন্তু সেই বৃষ্টি অবশ্যই স্বস্তি দেয় নি বরং বাড়িয়েছে গরম।
তাহলে কবে মিলবে একটু স্বস্তির পরশ? নাকি এই ভাবেই দাপট দেখাবে গরম? এই বিষয়ে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে যে খবর মিলেছে তাতে স্বস্তি উধাও হবে। মার্চের মাঝামাঝি থেকেই দক্ষিণবঙ্গে গরমের দাপট আরও বাড়তে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কিছু জায়গাতেও প্রচণ্ড গরম থাকবে।
এছাড়াও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে আরও জানানো হয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ ১৮ মার্চ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে প্রচন্ড গরম থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে। ১৮ মার্চের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।