আপনার বাড়িতে কি এখনো এলপিজি গ্যাসের সংযোগ (LPG Gas Connection) নেই? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে দারুণ সংবাদ। এখন আর দৌড়ঝাপ করে অফিসে ঘুরতে হবে না। বরং বাড়িতে বসেই এলপিজি গ্যাসের সংযোগ নিতে পারবেন। তাও অনলাইন বা অফলাইন উভয় পদ্ধতিতেই আবেদন করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে আবেদন করবেন এবং নতুন গ্যাসের সংযোগ পাবেন।
কোন কোন ডকুমেন্ট লাগবে?
নতুন এলপিজি গ্যাসের সংযোগ পেতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট লাগবে। যেমন-
- পরিচয়পত্র হিসেবে অবশ্যই আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে হবে।
- বাসস্থানের প্রমাণপত্র হিসেবে রেশন কার্ড, আধার কার্ড, বিদ্যুতের বিল বা টেলিফোন বিল জমা দিতে হবে।
- ব্যাংকের পাসবুকের জেরক্স দিতে হবে।
- তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- একটি অ্যাক্টিভ মোবাইল নাম্বার।
- যদি ভাড়াটে হন তাহলে সেই ভাড়ার চুক্তিপত্র লাগতে পারে।
অনলাইনে কীভাবে আবেদন করবেন?
নতুন এলপিজি সংযোগ নেওয়ার জন্য এখন খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাচ্ছে। শুধু নিন্মলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন-
- প্রথমে যে গ্যাস কোম্পানির সংযোগ নিতে চান, সেই কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
- নতুন আবেদনকারী হলে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
- রেজিস্ট্রেশনের পর আপনার ফোনে লগ-ইন ডিটেইলস এসএমএস করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
- লগ-ইন করার পর “New Domestic LPG Connection” লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- এরপর আবেদন ফরমটি নিজের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।
- এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি আপলোড করুন।
- এরপর আবেদনের স্ট্যাটাস আপনি ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে ট্রাক করতে পারবেন।
আবেদন একবার গৃহীত হয়ে গেলে ইমেইল বা মোবাইলের মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং সিকিউরিটি ডিপোজিট দিতে বলা হবে। এরপর থেকে আপনি বছরে ১২টি সাবসিডিযুক্ত এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বুক করতে পারবেন।
অফলাইনে কীভাবে আবেদন করবেন?
যাদের অনলাইনে আবেদন করতে কোন সমস্যা হয়, তারা নিকটবর্তী কোন গ্যাস ডিলারের কাছে গিয়ে অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। সেখানে গিয়ে একটি আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সেটি পূরণ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি যুক্ত করে সেখানে জমা দিতে হবে। আবেদন গৃহীত হলে নির্দিষ্ট সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা দিতে হবে। এরপরেই আপনার নামে গ্যাস সংযোগ চালু হয়ে যাবে।
কত টাকা লাগবে?
গ্যাস কোম্পানি ভেদে আবেদন ফি সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা দেওয়া লাগে। যেমনটা জানা যাচ্ছে, ইন্ডিয়ান গ্যাসের ক্ষেত্রে ২২০০ টাকা, এইচপি গ্যাসের ক্ষেত্রে ২৯০০ টাকা এবং ভারত গ্যাসের ক্ষেত্রে ১৪৫০ টাকা জমা দিতে হয়। তবে উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য কিছুটা কম টাকা লাগে। আর এই টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে নেওয়া হয় এবং আপনি সংযোগ বাতিল করলে টাকা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আবার রিটার্ন করে দেওয়া হয়।
তাই এখন থেকে গ্যাস সংযোগ পেতে আর কোন মাথা ব্যাথা নয়। আপনার হাতে যদি একটি ফোন থাকে, তাহলে অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন। যদি অসুবিধা হয় তাহলে অফলাইনের মাধ্যমেও খুব সহজেই সুবিধা নিতে পারবেন।