রমজান মাসের শেষে এবার বড় খবর। সাধারণত ইদের দিন জাতীয় ছুটি (Eid Holiday) হিসেবে গণ্য হয়। ফলে এইদিন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকে। তবে ২০২৫ সালের ইদের দিন ৩১শে মার্চ পড়ায় সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক, বীমা সংস্থা এবং আয়কর দপ্তরের কর্মীদের অফিসে যেতে হবে। কিন্তু কেন এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? চলুন জেনে নিই।
অর্থ বছরের শেষ দিনে জরুরী লেনদেন
৩১শে মার্চ হল অর্থ বছরের শেষ দিন। কারণ ১লা এপ্রিল থেকে নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতে চলেছে। আর এই দিন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির লেনদেনের চাপ তুঙ্গে থাকবে। বিশেষ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থা, কর দাখিল, বীমা সংস্থা, হিসাব নিকাশের কাজ ঐদিন সব থেকে বেশি থাকবে।
তাই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ৩১শে মার্চ সব ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। প্রথমে শুধুমাত্র মিজোরাম এবং হিমাচল প্রদেশে ব্যাংক খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশের সব রাজ্যে এবার এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।
৩১শে মার্চ কী কী কাজ করা যাবে?
যদিও এইদিন ব্যাংক খোলা থাকবে। তবে সীমিত পরিষেবা দেওয়া হবে ব্যাংকগুলোতে। জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র বিভিন্ন সরকারি লেনদেন, কর প্রদান এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক লেনদেনগুলিই করা যাবে।
আয়কর, জিএসটি, কাস্টমস এবং আফগারি শুল্ক সংক্রান্ত পেমেন্ট করা যাবে। পাশাপাশি সরকারি ভাতা এবং পেনশন বিতরণ করা হবে। তবে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য স্বাভাবিক লেনদেন বন্ধ থাকবে এই দিন।
মোবাইলে অনলাইন ব্যাংকিং চালু থাকবে?
যারা ৩১শে মার্চ ব্যাংকে গিয়ে লেনদেন করতে পারবেন না, তাদের জন্য চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ মোবাইল ব্যাংকিং, ইউপিআই এবং অনলাইন পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে চালু থাকবে এই দিন। সরকারি কর পরিষেবার অনলাইন ব্যবস্থাও সচল থাকবে। অর্থাৎ, বাড়িতে বসে ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে ব্যাংকিং পরিষেবা নিতে পারবেন।
১লা এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ
৩১শে মার্চ ব্যাংক খোলা থাকলেও জানা যাচ্ছে ১লা এপ্রিল দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে পশ্চিমবঙ্গ, মিজোরাম, হিমালয় প্রদেশ এবং মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলোতে ১লা এপ্রিল ব্যাংক খোলা থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে।
বীমা এবং আয়কর অফিসের ছুটিও বাতিল
শুধুমাত্র ব্যাংক নয়। ভারতীয় বীমা নিয়ন্ত্রক এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে যে, সমস্ত বীমা সংস্থাগুলি ২৯, ৩০ এবং ৩১শে মার্চ খোলা রাখতে হবে। এছাড়া আয়কর দপ্তর ৩১শে মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে, যাতে শেষ মুহূর্তে কর দাখিলের কোন সমস্যা না হয়।