প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এখনও পুরোপুরি গরম পড়েনি। এদিকে তার আগেই খামারে ও পোল্ট্রিতে অসংখ্য মুরগির (Chicken) মৃত্যু হচ্ছে। ছোট থেকে বড়, সব মুরগিই আক্রান্ত হচ্ছে এক অজানা রোগে। প্রথমে ঝিমুনির মতো হলেও ধীরে ধীরে অবসন্ন হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হচ্ছে অসংখ মুরগির। কোনো চিকিৎসাই কাজে আসছে না। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে কিন্তু বার্ড ফ্লু (Bird Flu) ধরা পড়েনি। যার জেরে চরম ক্ষতির মুখে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ও আউশগ্রামের মুরগি খামারের মালিকরা।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বড় ক্ষতির মুখে মুরগি ব্যবসায়ীরা
এই মুহুর্তে পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেশিরভাগ খামার ব্যবসায়ী এখন ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’য়ের মাধ্যমে মুরগি চাষ করেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের নিজেদের পরিশ্রম, শ্রমিকদের খরচ এবং তুষের জন্য বড় অংকের বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। কিন্তু সেই বিনিয়োগ এবার বিফলে যেতে চলেছে। এই ধোঁয়াশায় মাথায় হাত খামার মালিকদের। তবুও রোগ যাতে বাকি মুরগিদের কাবু করতে না পারে তার জন্য মৃত মুরগিদের মাটিতে গর্ত করে পুঁতে দিচ্ছেন। এরপর আর যাতে কোনও রোগ না ছড়ায়। কিছু ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওষুধে কাজ হচ্ছে না। যার ফলে যেসব খামারের মালিক ব্যক্তিগতভাবে চাষ করেন তাদের বড় ধরণের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এর নেপথ্যে কী কারণ?
এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক ডা: পার্থ সরকার জানান, পশ্চিমবঙ্গে এখনও বার্ড ফ্লু-র ঘটনা নথিভুক্ত হয়নি। আবহাওয়ার পরিবর্তন, আলোর কমবেশি বা সঠিক ওষুধ বা পরিচর্যার অভাবেও মুরগি মারা যেতে পারে। সঠিকভাবে পরীক্ষা না করে এভাবে বলা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এর প্রভাব বাজারেও পড়তে পারে। জানা গিয়েছে মঙ্গলকোটেও তিনদিনে মোট ৫০০ মুরগি মারা গিয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক মুরগিপালক জানিয়েছেন যে , “মুরগি চাষ করে প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ২০০০ পিস মুরগি মরে গেছে। কি রোগ কিছুই বুঝতে পারছি না।”
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত খামারগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। দফতরের তরফে বলা হয়েছে, এখন মুরগি এই রাজ্যই উৎপাদিত হয়। সেক্ষেত্রে নতুন করে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্ক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও খামারগুলিতে মুরগির উপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।