প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মাকে (Justice Dinesh Kumar Sharma) কলকাতা হাইকোর্টে বদলি করার সুপারিশ দিয়েছে। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা। এবং সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার দিনভর কাজে যোগ না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা। কিন্তু কে এই বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা?
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কেন প্রতিবাদে ডাক আইনজীবীদের?
সূত্রের খবর, বর্তমানে দিল্লি হাইকোর্টের ১৮তম প্রবীণ বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা। ২০২২ সালে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি দিল্লির জেলা ও সেশন বিচারক এবং দিল্লি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার (ভিজিল্যান্স) হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু হাইকোর্টের আইনজীবিদের অভিযোগ, “যে বিচারপতিকে কলকাতা হাইকোর্টের পাঠানো হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটলেই তা জানতে পারবেন মানুষ।” তাই অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের। এবং প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে।
জানা গিয়েছে হাইকোর্টের আইনজীবীদের সব সংগঠনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আজ বিকাল ৩.৩০ পর্যন্ত কোনো আইনজীবী বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না। আর সেই প্রতিবাদের সূত্র ধরে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার টোকেন প্রতিবাদে সামিল হন আইনজীবীরা। এদিন আরেক বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রতিবাদী আইনজীবীরা। এ প্রসঙ্গে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শঙ্কর প্রসাদ দলপতি জানান, ”বিচারপতি যশবন্ত বর্মা এলাহাবাদ আদালতেরই বিচারপতি ছিলেন। তাঁর পেরেন্ট কোর্টই ফেরত নিতে চাইছে না। তাহলে এরকম একজন টেম্পটেড জজকে আমরা কেন নেব? আমাদের কলকাতা হাইকোর্টের দুর্নাম হবে। আর ওঁনাকে তো রুটিন বদলি করা হচ্ছে না, একটা নির্দিষ্ট কারণেই বদলি করা হচ্ছে।” এই ইস্যুতে লোকসভায় সরব হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বিচারপতি বিতর্কে মুখ খুললেন কল্যাণ
এদিন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই অসৎ বিচারপতি, যাঁদের নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে, মাত্র এক-দেড় বছর চাকরি রয়েছে, তাঁদের কেন বারবার কলকাতা হাইকোর্টে বদলি করা হবে? কলকাতা হাইকোর্টকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড কেন করা হবে? তার থেকে ভাল, আমাদের কলকাতা হাইকোর্টের যে সমস্ত বিচারপতিদের বদলি করা হয়েছে, তাঁদেরকে ফিরিয়ে দাও। আমরা অসৎ বিচারপতিদের নেব না।” যদিও এর আগে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছিল আইনজীবীদের ৩ সংগঠন। চিঠিতে বলা হয়েছে, যে কলকাতা হল দেশের প্রাচীনতম হাইকোর্ট। ফলে কোনও বিতর্কিত বা স্বল্প মেয়াদের একজন বিচারপতিকে বদলি করা একদম ঠিক নয়। এতে এই হাইকোর্টের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।