সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ফের মহা বিপাকে বাংলাদেশ। নতুন করে অন্ধকারে ডুবতে পারে ঢাকা সহ দেশের একাধিক অংশ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর বড় কারণ হল ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হল। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। এমনিতে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ (Bangladesh Electricity) সরবরাহ করছে আদানি পাওয়ার। ঝাড়খণ্ডের প্লান্ট থেকে সেখানে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আদানি পাওয়ারকে বকেয়া হাজার হাজার কোটি টাকা না মেটানোর অভিযোগ রয়েছে। সেই নিয়ে বিতর্ক তো রয়েইছেই। কিন্তু এরই মাঝে এই ঝাড়খণ্ড থেকে আচমকাই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হল। তাহলে কি শেষমেষ বিদ্যুৎ পরিষেবা করে দেওয়া হল আদানি পাওয়ারের তরফে? বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি বন্ধ!
জানা গিয়েছে, নাকি শুক্রবার রাত থেকে ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উভয় ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এমনিতে প্রতিটি ইউনিটের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ৮ এপ্রিল উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এরপর শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই প্ল্যান্টটিতে দুটি ইউনিট রয়েছে, প্রতিটির ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট। এর কারণ কী? উত্তর জানতে হিমশিম খাচ্ছেন সকলে।
সকলের আশঙ্কা, আদানি প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু না হলে রবিবার থেকে বাংলাদেশে লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এক কথায় নিকষ কালো অন্ধকারে ডুবতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেট্রোবাংলাকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। একটি ইউনিট শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে পুনরায় কাজ শুরু করতে পারে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগ!
যদিও গোটা বিষয়টিকে যান্ত্রিক গোলযোগ বলা হচ্ছে। পিজিসিবি এবং পিডিবির কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে আদানি প্ল্যান্টটি আগে জাতীয় গ্রিডে ১,৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করত। ৮ এপ্রিলের পরেও, সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৭৫০ মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে একটি ইউনিট পুনরায় চালু হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
পিজিসিবি এবং পিডিবি সূত্র জানিয়েছে যে, শনিবার যেহেতু সপ্তাহান্তে, তাই বিদ্যুতের চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। দুপুর ১:০০ টা পর্যন্ত, সর্বোচ্চ চাহিদা ১৩,৫০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে, এই সময় ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। যদি আদানি প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহ পুনরায় শুরু না হয়, তাহলে রবিবার থেকে লোডশেডিং আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ঘাটতি পূরণের জন্য পিডিবি পেট্রোবাংলার কাছ থেকে আরও গ্যাসের অনুরোধ করেছে।