বিদ্যুৎ বিলের উপর এবার বিশাল ছাড়! রাজ্যে চালু হচ্ছে হাসির আলো প্রকল্প
বিদ্যুৎ বিলের উপর ছাড় প্রদান করার জন্য দারুণ উদ্যোগ রাজ্যের। হাসির আলো প্রকল্প (Hasir Alo Scheme) নামে এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল অনেক পরিবারকে, বিশেষ করে যারা দারিদ্র্যসীমার নীচে রয়েছে তাঁদের সাহায্য করা। এই প্রকল্প এবং রাজ্যের বিদ্যুৎ বিলের উপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার তা এখানে দেওয়া হল।
হাসির আলো প্রকল্প হল পশ্চিমবঙ্গের বিপিএল (দারিদ্র্যসীমার নীচে) রেশন কার্ডধারীদের বিদ্যুৎ বিল কমানোর একটি সরকারি উদ্যোগ। এর অর্থ হল বর্তমানে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী লোকেরা তাদের বিদ্যুৎ বিলের উপর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। তবে, এই ছাড় শুধুমাত্র বিপিএল কার্ডধারীদের জন্য উপলব্ধ এবং রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য উপলব্ধ হবে না।
সিইএসসি (কলকাতা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন) এর আওতাধীন এলাকায়, যেখানে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, এই প্রকল্পটি নিম্ন আয়ের পরিবারগুলির জন্য একটি ত্রাণ হিসাবে আসে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলের উপর কিছু ছাড় প্রদান করে আসছে, যা যোগ্য পরিবারের জন্য অব্যাহত থাকবে।
পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন উন্নত করার জন্য সরকার কিছু বড় সিদ্ধান্তও নিয়েছে, বিশেষ করে দেউচা পাচামি কয়লা খনির উন্নয়নের মাধ্যমে। ভারত এবং বিশ্বের বৃহত্তম এই কয়লা খনিটি আগামী ১০০ বছর ধরে রাজ্যের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রাখে।
যদি এই খনি থেকে কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলে এটি পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। স্থানীয় কয়লা উত্তোলনের ফলে কয়লা আমদানির খরচ কমে যাবে, ফলে গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ সস্তা হবে।
দেউচা পাচামি কয়লা খনির উন্নয়ন রাজ্যের জন্য বেশ কিছু সুবিধা বয়ে আনতে পারে। সস্তা বিদ্যুতের পাশাপাশি, এই প্রকল্পটি প্রায় ১ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারে। প্রকল্পের জন্য জমি প্রদানকারী ব্যক্তিদের তাদের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে সরকারি চাকরি বা হোমগার্ড পদের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।
এটি স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে এবং বাসিন্দাদের জন্য আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। কয়লা খনির চারপাশে শিল্প অঞ্চল গড়ে ওঠার সাথে সাথে আরও কোম্পানি বিনিয়োগে আসতে পারে, যার ফলে এই অঞ্চলে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে।
বিদ্যুৎ বিলের উপর ছাড় প্রদানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলিকে আর্থিক ত্রাণ প্রদানের দিকে হাসির আলো প্রকল্প একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। একই সাথে, দেউচা পাচামি কয়লা খনির উন্নয়ন বিদ্যুতের খরচ কমাতে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে, যা রাজ্যের অর্থনীতিকে উপকৃত করবে। তবে, প্রকল্পটি এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ভূমি অধিগ্রহণ এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের দিকে সতর্ক হয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
শুভ্রোদীপ চক্রবর্তী, কলকাতা: ভারতে উপলব্ধ স্কুটারগুলির মধ্যে বিক্রির নিরিখে ফেব্রুয়ারিতেও শীর্ষস্থান ধরে রাখল বিপুল জনপ্রিয়…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজ ২৪শে মার্চ, সোমবার। আজ কেমন থাকবে আপনার ভাগ্য? তা জানতে অবশ্যই…
সুমন পাত্র, কলকাতা: দেশের বাজারে কম দামি স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে রিয়েলমি এবং ভিভোর একাধিক ডিভাইস রয়েছে।…
UPI ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট! যদি আপনার ব্যাঙ্কের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দীর্ঘদিন ধরে…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমান সময়ে বেকারত্ব যেন এক প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরির সুযোগ সীমিত…
বর্তমান সময়ের মহিলাদের স্বনির্ভরতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান এমন অনেক মহিলা…
This website uses cookies.