বিদ্যুৎ বেচে আয়! নয়া উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, বাড়বে কর্মসংস্থান থেকে রোজগার
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) তরফে গত কয়েক বছরে একাধিক প্রকল্প খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। যার জেরে খরচ বাড়লেও আয়ের উৎস সেভাবে না বাড়ায় রাজ্য চালাতে এক প্রকার হিমশিম খাচ্ছে মমতা সরকার, এমনটাই অভিযোগ করছেন বিরোধীদের একটা বড় অংশ। এমতাবস্থায়, রাজ্যে উৎপাদিত বিদ্যুতের বেশিরভাগটা ব্যবহার করে বাকি উদ্বৃত্ত অংশ বেচে রোজগারের নতুন পথ তৈরির চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, বেচে যাওয়া বিদ্যুৎ দিয়েই মোটা অর্থ রোজগারের পরিকল্পনায় রয়েছে সরকার পক্ষ।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, আগামী বছরগুলিতে রাজ্যে 4 থেকে 5টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জানা যাচ্ছে এই কেন্দ্রগুলি নির্মাণের জন্য খরচ হিসেবে যে প্রয়োজনীয় অর্থ লাগবে তা তোলা হবে সাধারণত পিপিডি মডেলে। মনে করা হচ্ছে, এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে রাজ্যজুড়ে বিদ্যুতের যোগান দেওয়ার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়া বিদ্যুৎ বিক্রি করে তা দিয়ে রোজগারের বিকল্প পথ খুঁজছে রাজ্য সরকার।
কয়েকটি রিপোর্ট বলছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ ও উপরন্তু বিদ্যুৎ বিক্রি করে রোজগার করার পরিকল্পনা বহু আগে আগে থেকেই ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। বলা হচ্ছে, এই পরিকল্পনা ছাড়াও বিনিয়োগকারী বেসরকারি সংস্থাগুলি থেকে বিদ্যুৎ বিক্রি করার পর উপার্জিত অর্থের লভ্যাংশ যাতে পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থাও করতে চাইছে মমতা সরকার।
বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া বিদ্যুৎ বিক্রি করার পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা পশ্চিমবঙ্গে এটাই প্রথম। জানা যাচ্ছে, এই প্রচেষ্টার সূচনা মাস খানেক আগে শেষ হয়ে গিয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে। মূলত পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে দুটি 800 মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ ইউনিট তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে জেএসডব্লিউ গোষ্টি।
জানা যায়, এই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা করবে রাজ্য। সূত্র মারফত খবর, রাজ্যের তরফে পাওয়া জমিতেই প্রায় 16 হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দুটি উন্নত মানের তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ইউনিট গড়ে তুলবে এই বেসরকারি গোষ্ঠী। এখনও পর্যন্ত যা খবর, এই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়ে গেলে 5 টাকা 45 পয়সা প্রতি ইউনিট দর দিয়ে বিদ্যুৎ কিনবে রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে, যে 2030 সালের মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট গড়ে তুলবে, জেএসডাব্লিউ গোষ্ঠী।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, শিল্প গোষ্ঠী জেএস ডাব্লিউ-র দুই ইউনিট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি দুর্গাপুরের ডিপিএল, সাঁওতালডিহি ও বক্রেশ্বরে আরও 800 মেগা ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ইউনিট গড়ে তুলবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের তরফে একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে, সরকারের পরিকল্পনা মাফিক প্রতিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে খরচ হওয়া অর্থ তোলা হবে পিপিডি মডেলে। উল্লেখ্য, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে জমি, অ্যাশ পন্ড এবং কোল হ্যান্ডলিং প্লান্ট-এর মতো প্রয়োজনীয় কাঠামো গুলি সরবরাহ করবে পিডিসিএল। যেখানে অর্থলগ্নির দায়িত্বে থাকবে একাধিক বেসরকারি সংস্থা।
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছোট গাড়ি Tata Nano এবার আসছে একেবারে নতুন রূপে—একটি সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক গাড়ি…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আমাদের সকলের জীবনে অক্সিজেনের পরে, জল হল বেঁচে থাকার অন্যতম মাধ্যম। কারণ…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বাইকপ্রেমীদের জন্য চমক। এবার বাজারে তাক লাগাতে আসছে বাজাজ অটোর Dominar 400।…
পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ (SSC Upper Primary Recruitment) এখনও…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো গাড়ি কেনা একসময় স্বপ্ন…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার ঠিক একদিন পরেই ভারতের প্রতিরক্ষা…
This website uses cookies.