বিপদ বাড়ল ভারতের! সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্য চিনকে ৫ হাজার একর জমি দিচ্ছে পাকিস্তান
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের জন্য হুমকি তথা চিরশত্রু চিনকে নৌঘাঁটি ও বিমানবন্দর তৈরির জন্য জায়গা দিচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)! সম্প্রতি এমন দাবিই করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা আদিল রাজা। বেশ কিছু সূত্র মারফত খবর, সম্প্রতি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাকে বরাত দিয়ে প্রাক্তন পাক সামরিক নেতা জানিয়েছেন, দক্ষিণ বেলুচিস্তানে চিনা সামরিক বিমানবন্দর ও নৌ ঘাঁটি তৈরির জন্য 5 হাজার একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
বেশকিছু সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে আরব সাগরে ঘাঁটি গাড়তে চেয়েছিল চিন। তবে পরিস্থিতির ফাঁপরে পরে পছন্দসই কায়দায় জায়গা করে উঠতে পারছিল না তারা। শোনা যাচ্ছে, এবার চিনকে সেই সুযোগ করে দিল পাকিস্তান। কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, পাকিস্তানের দক্ষিণ বেলুচিস্তানে কমপক্ষে 5 হাজার একর জমি চিনা বিমানবন্দর ও সামরিক নৌঘাঁটি তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, চিন ইতিমধ্যেই গোয়াদরে একটি বন্দর তৈরি করে ফেলেছে। যা ভারতের জন্য এক কথায় হুমকিস্বরূপ। এমতাবস্থায় পাকিস্তান যদি সত্যিই চিনকে বিমানবন্দর ও সামরিক নৌঘাঁটি তৈরির জন্য জায়গা দেয় সে ক্ষেত্রে ভারতের জন্য যথেষ্ট চাপের হবে।
বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে যে তথ্য উল্লেখ করেছে সেই তথ্য মারফত খবর, পাকিস্তান যে অংশে চিনকে বিমানবন্দর ও নৌ ঘাঁটি তৈরির জন্য জায়গা দিচ্ছে সেটি গোয়াদর থেকে প্রায় 70 কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে তুরবাতের কাছে অবস্থিত।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা আদিল রাজা জানিয়েছেন, আগেই চিনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বেলুচিস্তানের জিওয়ানি অঞ্চলে চিনা সেনাদের বিমানবন্দর ও নৌঘাঁটি তৈরির খবর জানিয়েছিল। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তানের তরফে চিনকে জায়গা দেওয়া হলে গোয়াদরে চিনের সামরিক বন্দরগুলিতে সরাসরি যুক্ত হয়ে এই প্রকল্প বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীর ওপর চিনের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়াবে।
চলতি বছরের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে সন্ত্রাসবাদি দেশগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুযোগ সন্ধানী পাকিস্তান প্রতি মুহূর্তে ভারতের ওপর চাপ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। বলা বাহুল্য, গত বছর গোয়াদরে সামরিক নৌ ঘাঁটি তৈরির জন্য চিনকে অনুমতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পাকিস্তান।
পাকিস্তান জানত, গোয়াদরে চিনা নৌঘাঁটি বা বিমানবন্দরের মতো কোনও সামরিক ঘাঁটি তৈরি হলে আদতে কোনও লাভ হবে না তাদের, কিন্তু তা সত্ত্বেও গোয়াদর বন্দর তৈরির জন্য চিনকে কোটি কোটি ডলার খরচের অনুমতি দেয় পাকিস্তান। জানা যায়, গোয়াদর বন্দর চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (CPEC) অংশ। যা তৈরি করতে পাকিস্তানের মাটিতে কমপক্ষে 60 বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে চিন। এবার সেই পথ ধরেই পাকিস্তানকে সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্য 5 হাজারেও বেশি জায়গা দিতে চাপ দিচ্ছে চিনারা।
প্রসঙ্গত, ভারতকে কেন্দ্র বানিয়ে চিন বন্দরের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চাইছে। সংবাদের ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে “মুক্তার স্ট্রিং”। মুক্তার স্ট্রিং আসলে একটি চিনা তত্ত্ব যা কাজে লাগিয়ে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার ও ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে চিনারা। বলে রাখা ভাল, মুক্তার স্ট্রিংয়ের মধ্যে পড়ছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, পাকিস্তানের করাচি এবং গোয়াদর বন্দর ও শ্রীলঙ্কার কলম্বো ও হাম্বানটোট বন্দরগুলি।।
Xiaomi হ্যারি পটার প্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ স্মার্টফোন এনেছে। এই ফোনের নাম Redmi Turbo 4…
নতুন স্মার্টফোন কেনার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে OnePlus 13R নিতে পারেন। আসন্ন অ্যামাজন গ্রেট সামার সেলে…
OnePlus Pad 2 ট্যাবলেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর। চলে এল নতুন সফটওয়্যার আপডেট। OxygenOS 15.0.0.801 ভার্সনের…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজ ৩০ এপ্রিল, বুধবার। আজকের রাশিফল (Ajker Rashifal) অনুযায়ী আপনার দিনটি কেমন…
Ulefone আগামী ১২ মে, ২০২৫ তারিখে তাদের নতুন মডেল Ulefone Armor 28 Pro গ্লোবাল মার্কেটে…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: WBCS পরীক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলক করার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। যা নিয়ে তর্ক…
This website uses cookies.