সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) পার্পল লাইন নাকি বিবাদী বাগে শেষ হচ্ছে না! নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই লাইন সম্প্রসারিত হয়ে শেষ স্টেশন দাঁড়াবে ইডেন গার্ডেন্স। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। কলকাতা মেট্রোর ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, যা শহরের যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বিবাদী বাগ থেকে আরো ১.৬ কিমি. নতুন রুট
বেশ কিছু সূত্র দাবি করছে, এই সম্প্রসারণের জন্য রেল ইতিমধ্যে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এবং অনুমোদনও সেরে ফেলেছে। ফলে পার্পল লাইনের মোট প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে এখন ১০,৩৬০ কোটি টাকা। কিন্তু স্টেশন কোথায় তৈরি করা হবে? আসলে ইডেন গার্ডেন্স স্টেশন তৈরি হবে মোহনবাগান ফুটবলের মাঠের কাছে। এক কথায় বলতে গেলে ইডেন গার্ডেন্সের ১ নম্বর গেটের সামনে।
সুবিধা পাবেন সরকারি কর্মীরা ও ক্রীড়া প্রেমীরা
মেট্রোর এই সম্প্রসারণের ফলে শুধুমাত্র সাধারণ যাত্রীরা নয়। বরং ক্রিকেট এবং ফুটবলপ্রেমীদের জন্যও দারুণ সুবিধা আসবে। কারণ ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ দেখতে বেশিরভাগ মানুষ ইডেন গার্ডেন্স বা যুবভারতীতে যেতে গেলে সরাসরি মেট্রো ধরেই পৌঁছাতে পারবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
পাশাপাশি হাইকোর্ট স্ট্যান্ড রোড, বাবুঘাট, বিবাদী বাগের অফিসগামী মানুষদের জন্য এই সম্প্রসারণ দারুণ সুবিধা আনবে। পাশাপাশি যারা সরাসরি পার্পল লাইনের ট্রেন ধরতে পারবে না, তারা এসপ্ল্যানেডে নেমে পার্পল লাইনে বদলে পৌঁছাতে পারবে।
স্টেশন সংখ্যা বাড়ছে ১৩টি
প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল জোকো থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মোট ১৪.৪ কিলোমিটার লম্বা রুট তৈরি করা। কিন্তু ইডেন গার্ডেন্স সম্প্রসারণের ফলে রুটের দৈর্ঘ্য বেড়ে ১৬ কিলোমিটারে পৌঁছেছে। সূত্র বলছে, এই রুটে মোট স্টেশন থাকবে ১৩টি। ৮টি স্টেশন থাকবে এলিভেটেড বা মাটির উপরে এবং ৫টি স্টেশন থাকবে ভূগর্ভস্থ বা সাবওয়ে মেট্রো।
টানেল তৈরির প্রক্রিয়া এবং কাজের অগ্রগতি
জানা যাচ্ছে, খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার অংশে মেট্রো চলবে মাটির নীচ দিয়ে। খিদিরপুর থেকে পার্ক স্ট্রীট পর্যন্ত ২.৭ কিলোমিটার টানেল তৈরি করা হবে টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে এবং পার্ক স্ট্রীট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত সুরঙ্গ কাটা হবে কাট অ্যান্ড কভার পদ্ধতিতে, যা ব্যবহার করে ১৯৭০ এর দশকে কলকাতায় প্রথম মেট্রো রুট তৈরি করা হয়েছিল। তবে এসপ্ল্যানেড থেকে ইডেন গার্ডেন্স পর্যন্ত কীভাবে সুরঙ্গ তৈরি করা হবে, তা এখনো জানা যায়নি।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
কলকাতা শহরের অত্যাধিক যানজট কমাতে এবং দ্রুত যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মেট্রোর এই সম্প্রসারণ এক কথায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবী মানুষট থেকে ক্রীড়া প্রেমী, সব শ্রেণীর মানুষ উপকৃত হবেন এই মেট্রো পরিষেবার মাধ্যমে। এখন দেখার, কবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়।