একের পর এক বিভিন্ন জায়গায় বাঘের হামলার কথা শোনা যাচ্ছে আর এবার ঘটনাস্থল উত্তর প্রদেশ। চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। চার হাত এক হচ্ছিল অক্ষয় শ্রীবাস্তব এবং জ্যোতি কুমারীর। এরপর হঠাৎই চিতা বাঘ পড়েছে চিতা বাঘ পড়েছে বলে রব। যদিও সাময়িকভাবে সবাই ভেবেছিল পথকুকুর প্রবেশ করেছে। কিন্তু অচিরেই ভাঙে ভুল। লজের মধ্যে প্রবেশ করেছে এক মস্ত বড় পুরুষ চিতা বাঘ।
একটি বড় লজেই বসেছিল বিয়ের আসর। চলছিল নাচগান, খাওয়াদাওয়া। একইসঙ্গে হচ্ছিল বিয়ে। বর-কনেকে ঘিরে দাঁড়িয়ে সেই অনুষ্ঠান দেখছিলেন অনেকেই। আর সেই ফাঁকেই লজে প্রবেশ করে বিনা আমন্ত্রণের অতিথি। যদিও এক আমন্ত্রিত অতিথির চোখেই প্রথম পড়ে চিতাবাঘটি। যদিও প্রথমে তিনি কুকুর ভেবে আর পাত্তা করেননি, শহরের লজে চিতা বাঘ আসবে কোথা থেকে? কিন্তু হঠাৎই খচখচ শব্দে ভুল ভাঙে সবার।
মুহূর্তের আনন্দ বদলে যায় ভয়ে, আতঙ্কে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বন্ধ হয় গান বাজনা। বর কনে সহ প্রাণভয়ে আসর ছেড়ে পালান সবাই। সেই হুড়োহুড়ির ফাঁকে চিতাবাঘটিও লজের ভিতরে একটি ঘরে ঢুকে পড়ে। লজের অন্য ঘরে তখন আতঙ্কিত বর-কনে অতিথিরা বন্দি। খবর যায় বনদফতরে। দ্রুতই আসেন বনদফতরের কর্মীরা।
এরপর ধীরে ধীরে বের করে নিয়ে আসা হয় বর কনে সকল সমস্ত আমন্ত্রিত অতিথিদের। প্রায় ২০০ মিনিট পর ওই বাঘকে কব্জায় আনতে পারেন বনকর্মীরা। খেরি অঞ্চল থেকে শহরে ঢুকে পড়েছিল ওই বাঘটি বলে মনে করা হচ্ছে। চিতাবাঘের হামলায় দুই ক্যামেরাম্যান এবং এক অতিথি জখম হন।