শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আবারও এক নতুন মাইলফলক অর্জন করল ভারতীয় রেল। ভারতের রেলের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন কাজ করেছে রেল, যারপরে সকলেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন। এমনিতে দেশের এক প্রান্তের সাথে অন্য প্রান্তের সংযোগ স্থাপনের জন্য রেলওয়ে দ্রুত গতিতে কাজ করছে। গত কয়েকদিন ধরে রেললাইনের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকার সাথে সংযোগ স্থাপনের পর, এখন মিজোরাম রেললাইনের ব্যাপারে দেশবাসীকে একটি বড় উপহার দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
রাজ্যে প্রথম পৌঁছাল ভারতীয় রেল
মিজোরাম ও আসামের সীমান্তে বৈরাবি থেকে আইজলের কাছে সাইরাং পর্যন্ত নির্মিত ব্রডগেজ রেললাইনের (Bairabi–Sairang line) কাজ ২০২৫ সালের জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এদিকে এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর অবশেষে মিজোরামের রাজধানী আইজলে পৌঁছল ভারতীয় রেল। সবটাই সম্ভব হয়েছে মোদী সরকারের জন্য।’
সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৮,২১৫ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ৭,৭১৪ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গেছে। বৈরাবি-সাইরাং রেলপথ মিজোরামের রাজধানী আইজলকে দেশের প্রধান রেল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে। এটি সম্পন্ন হলে, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি এবং দেশের অন্যান্য অংশের মধ্যে যাতায়াত আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে যাবে। এই এলাকার ভৌগোলিক অবস্থার কারণে ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ নির্মাণ করা সহজ ছিল না।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
Indian Railways has finally reached Mizoram’s capital, Aizawl—77 years after Independence.
It took Modi government to make it happen.
That speaks volumes about the neglect the Congress ecosystem, which ruled for nearly 60 of those years, showed toward the Northeast. https://t.co/PHJPyAtNI6
— Amit Malviya (@amitmalviya) March 31, 2025
দূরত্ব কমবে আসাম-মিজোরামের মধ্যে
এদিকে এই রেল নেটওয়ার্কের ফলে দূরত্ব কমবে আসাম ও মিজোরামের মধ্যে। এর উপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনটি ৩২টি ভূগর্ভস্থ টানেল, ১৪৪টি সেতু (৫৫টি বড় সেতু এবং ৮৯টি ছোট সেতু), ১৫টি কাটা এবং আচ্ছাদিত টানেল, পাঁচটি ওভারব্রিজ এবং ছয়টি আন্ডারপাসের মধ্য দিয়ে যাবে। এগুলো সবই এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নতুন রেলপথটি চারটি ভাগে বিভক্ত: বৈরাবি-হোরতোকি, হোরতোকি-কাওয়ানপুই, কাওয়ানপুই-মুয়ালাখাং এবং মুয়ালাখাং-সাইরাং। রেলপথটি চালু হওয়ার পর, মিজোরাম এবং আসামের মধ্যে ভ্রমণের সময় তিন থেকে চার ঘন্টা কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।