“ভরসা রাখুন, বঞ্চিত ও যোগ্যদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার,” চাকরি বাতিল ইস্যুতে ব্রাত্য বসু
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এক লহমায় এত বছরের চাকরি খোয়ালো রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। যার ফলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে চাকরি খুইয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫২ জন। রাতারাতি চাকরি খুইয়ে কার্যত দিশেহারা যোগ্যরা। কীভাবে সংসার চলবে, সেই চিন্তা রাতের ঘুম উড়েছে হাজার হাজার চাকরিহারার। এবার এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। সেখানে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছেন যে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোনোর পরে চাকরিহারাদের অনেকেই আজ থেকে স্কুলে যাচ্ছেন না। তার উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমার মনে হয় এই তথ্য ঠিক নয়। কাল মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কী করণীয়, তা বলে দিয়েছেন।” আর তাতেই ব্রাত্য বসু পাল্টা প্রশ্ন করা হয় যে, তবে কী চাকরিপ্রার্থীরা স্কুলে যেতে পারেন? সেই উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমি তো এমন কথা বলতে পারি না। চাকরিহারাদের মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক বার্তার উপর ভরসা রাখুক সকলে।”
এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন সাংবাদিকদের বলেন, “ যারা যোগ্য ও বঞ্চিত তাদের প্রতি যাতে একটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে তার আবেদনও করছি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বঞ্চিত ও যোগ্যদের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “আজ তো স্কুল সার্ভিস কমিশনও সাংবাদিক বৈঠকে করেছে। ফলে, যা মূল কথা লিগ্যাল বা টেকনিক্যাল ক্ল্যারিফিকেশন তো ওরাই দেবে। আমি যেটা আমার বিভাগীয় দায়িত্ব থেকে বলতে পারি যে, মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন সেই অনুযায়ী সবর্তোভাবে আমরা বঞ্চিত এবং যোগ্য যাঁরা আছেন, তাঁদের পাশে আমরা সর্বতোভাবে থাকব। মানবিকভাবে থাকব, রাজনৈতিকভাবেও থাকব।”
এদিকে সব মিলিয়ে একেবারে দিশেহারা অবস্থা চাকরিহারাদের। পাড়াতে, আত্মীয়স্বজনদের সামনে কোণঠাসা অবস্থা। ভবিষ্যৎ এ তাঁদের জন্য কী অপেক্ষা করে রয়েছে তা নিয়ে চিন্তায় অনেকেই আত্মহত্যার ভাবনা আনছেন। আবার অনেকেই চাকরি বাতিলের দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযানে নেমেছে শিক্ষকদের সংগঠন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীকে এর দায় নিতে হবে। বহু শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা নিজেদের যোগ্যতায় পাশ করেছিলেন। দীর্ঘ পরিশ্রম করে তাঁরা শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু গুটিকয়েক লোকের জন্য সবটাই আজ অস্তাচলে। তবে শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন যোগ্য ও বঞ্চিতদের পাশে থাকবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন।
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পারিক শুল্ক আরোপ নীতির জ্বালায় জ্বলছে গোটা বিশ্ব।…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিগত কয়েক মাসে রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Cylinder Price) কখনও একধাক্কায় অনেকটাই…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর তাঁর সমাধির ওপর ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তাজমহল তৈরি করেছিলেন…
ভারতীয় বাজারে নতুন Honda SP 125 বাইকটি লঞ্চ হওয়ার পর থেকেই গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সালটা ছিল ২০২০। সেই সময় করোনা মহামারি এতটাই ভয়ংকর আকার ধারন করেছিল…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র এখন চরম সংকটের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। হাজার হাজার শিক্ষক বর্তমানে…
This website uses cookies.