বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিশ্বাসঘাতকতার নতুন নজির গড়ল পাকিস্তান (Pakistan)! এবারে পাকিস্তানের নিশানায় মহম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতকে চাপে ফেলতে ও প্রতিবেশীকে শেয়ানে শেয়ানে টক্কর দেওয়ার অন্ধবিশ্বাস নিয়ে পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়েছিল ওপার বাংলার সরকার!
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
তবে কথায় আছে, অভ্যাস পরিবর্তন হলেও প্রকৃতি কখনও বদলায় না! এবার সেই নীতি মেনেই পাকিস্তান পুনরায় তার আসল রূপ দেখিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে 3 হাজার টন ওজনের গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট পিএনএস আসলাত যুদ্ধ জাহাজটি পাঠায়নি শেহবাজের সরকার। আর এই ঘটনার পরই, কার্যত মাথায় হাত পড়েছে বাংলাদেশের।
বাংলাদেশকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পাকিস্তান?
সাম্প্রতিক কালে ভারতকে চেপে ধরতে বাংলাদেশের সাথে সরুপ থে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করছিলেন মহম্মদ ইউনূস। তবে তাতে লাভ হলো কতটা? সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তান নৌ বাহিনীর সাথে সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে বেশ কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের একটি বন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা। আর ঠিক সেই সময়ে ভারতের পশ্চিম দিকের দেশ পাকিস্তানের নৌবাহিনীর তরফে নতুন প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল বাংলাদেশ।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
পাকিস্তানের তরফে বলা হয়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তারা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ফ্রিগেট যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবে। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সূচি মেনে ইন্দোনেশিয়ার সফর শেষ করে ফেরার পথে পিএনএস যুদ্ধজাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে তা শেষ পর্যন্ত ওপার বাংলার বন্দরে এসে পৌঁছায়নি বলেই খবর। এহেন আবহে, পাকিস্তানের সাথে সখ্যতা সত্ত্বেও বন্ধু দেশের এমন আচরণে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কার্যত লজ্জায় পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতকে চাপে ফেলার চাল বানচাল হল?
বেশকিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানি ফ্রিগেটটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার কলম্বো শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। সেখানে মূলত 3 দিনের সফর কাটিয়ে ফেরার পথে চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানী যুদ্ধ জাহাজটির। তবে সূত্রে বলছে, ওপার বাংলার বন্দরে যাওয়ার পরিবর্তে সেটি নাকি আবারও শ্রীলঙ্কায় ফিরে যায়। সবশেষে মালদ্বীপ ঘুরে পাকিস্তানে ফেরে ওই ফ্রিগেট। আর এই ঘটনা বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট চাপের হয়ে উঠেছে।
বিগত মাস গুলিতে ভারতকে চাপে ফেলতে পাকিস্তানি ফ্রিগেট নিয়ে বেশ কিছু জল্পনা তৈরি হয়েছিল ওপার বাংলায়। এহেন আবহে প্রতিবেশী বলা ভাল, চিরকালের উপকারী বন্ধু ভারতের সামনে ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে একেবারে লেজে গোবরে অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশের।
অবশ্যই পড়ুন: এই নিয়মে সুবিধা, ফাইনালও জিতবে মোহনবাগান! কবে, কোথায় খেলা?
প্রসঙ্গত, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পাকিস্তান কেন বাংলাদেশে ফ্রিগেট পাঠায়নি, সে বিষয়ে দেশটির তরফে কোনও বক্তব্য না এলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যেভাবে পাকিস্তানের সাথে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ক্রমশ সখ্যতা বাড়িয়ে চলেছে তা সত্যি ভারতের জন্য উদ্বেগের। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ভারতকে চাপে ফেলতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের মাঝে যদি চিনের মতো কোনও তৃতীয় শক্তিধর ঢুকে পড়ে সেক্ষেত্রে দিল্লির জন্য সেটা কতটা দুশ্চিন্তার হবে, তা বুঝতে বাকি নেই অনেকেরই।