বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিরল খনিজ সম্পদ অর্জনের জন্য আমরণ চেষ্টা করছে ভারত। গত ফেব্রুয়ারির ঘোষণা অনুযায়ী, জাম্বিয়ার এখা অঞ্চলের প্রায় 9,000 বর্গ কিমি এলাকায় তামা (Copper)এবং কোবাল্ট অনুসন্ধানের জন্য মুখিয়ে রয়েছে ভারত সরকার। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কম হওয়ায় বিদেশে সন্ধান পাওয়া এই খনিজ ক্ষেত্রে উত্তোলন কার্য শেষ হলে তা ভারতের জন্য বিদেশের মাটি থেকে খনিজ সম্পদ উত্তোলনের একটি দীর্ঘ কার্যক্রম হিসেবে বিবেচিত হবে। এমতাবস্থায়, ভারতের পাশাপাশি তামা আহরণের পথে হেঁটেছে আমেরিকা ও চিনের মত শক্তিধর দেশগুলিও।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
হুঁশিয়ারি দিয়েছে হোয়াইট হাউস?
বেশকিছু রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশের তামা আমদানির ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আমেরিকা। গত 25 ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসের তরফে প্রকাশ্যে আসা তথ্য মারফত খবর, বিদেশি তামার ওপর অন্যান্য দেশগুলির অতিরিক্ত নির্ভরতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।
হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র বলছে, ভারত ও চিনের মতো দেশগুলির বিদেশি তামার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা আমেরিকার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য হুমকি বয়ে আনবে। মনে করা হচ্ছে হয়তো সেই কারণেই গোটা বিশ্বজুড়ে তামা সরবরাহ বাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
তামা আহরণের জন্য মুখিয়ে চিন
ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ্যে আসা বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, কঙ্গো (ডিআরসি), চিলি এবং পেরুর মতো দেশগুলি যেখানে প্রচুর পরিমাণে তামা পাওয়া যায় সেই সব দেশের চিনা কোম্পানিগুলি বিশ্ব বিভিন্ন তামার খনি দখলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির ওপর জোর দিচ্ছে। সূত্র বলছে, বিশ্বের যেসব দেশে থেকে প্রচুর পরিমাণে তামা উত্তোলন করা হয় সেই সব দেশের সরকারকে তামার খনিগুলি হস্তান্তর করার জন্য প্রবল চাপ দিচ্ছে চিনা সংস্থাগুলি।
প্রকাশ্যে আসা তথ্য বলছে, গোটা বিশ্বে তামা গলানো ও পরিশোধনের অর্ধেক ক্ষমতায় রয়েছে চিনের হাতে। তবে সম্প্রতি নাকি বেঁকে বসেছে চিন। জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েক মাস ধরে তামা গলানোর ক্ষমতা কমিয়ে আনার পথে হেঁটেছে বিভিন্ন চিনা সংস্থা।
কেন তামা আহরণের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে দেশগুলি?
বেশকিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৈদ্যুতিক যানবাহন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শক্তিশালী ব্যাটারিসহ নানান প্রযুক্তি খাতে বহুল ব্যবহারে হয় তামার। আর সেই কারণেই ক্রমশ চাহিদা বাড়ছে এই ধাতুর। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী 2035 সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে তামার চাহিদা এতটাই বেড়ে যাবে যে সেই চাহিদা খনি থেকে উত্তোলিত তামার পরিমাণকেও হার মানিয়ে দেবে।
অবশ্যই পড়ুন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মাঝেই IPL নিয়ে বড় খবর! নয়া নিয়ম জারি BCCI-র
অর্থাৎ চাহিদার যোগান দিয়ে উঠতে পারবে না সংস্থাগুলি। বলা হচ্ছে এই কারণকে সামনে রেখেই বিশ্বজুড়ে তামার সরবরাহ শৃংখল সুরক্ষিত করতে ও নিজেদের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা জোরদার করতে তামার খুনিগুলি দখলের পথে হেঁটেছে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন ও ভারতের মতো দেশগুলি।