শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আমেরিকার ওপর চাপ বাড়াতে নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে চীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানীকৃত সোয়াবিন তেলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শি জিন পিং সরকার। চীন সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী দিনে তেলের দাম (Oil Price) কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত সোয়াবিন তেলের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ট্যাক্স চাপিয়েছে চীন। স্বভাবতই চীনে এতদিন যে পরিমাণ সোয়াবিন তেল আমেরিকা রপ্তানি করেছে, অতিরিক্ত শুল্ক যুক্ত হওয়ার পর এখন সেই পরিমাণ তেল সেখানে পাঠাতে পারবে না। তেলের চাহিদা কমলে দামও কমবে।
দাম কমতে চলেছে রান্নার তেলের?
চীনের কৌশলের ফলে তেলের দামে ইতিমধ্যে পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারদর হিসেবে গত তিন দিনে প্রতি টন সোয়াবিন তেলের দাম কমেছে ৫০ ডলার করে। সোয়াবিন তেলের দাম প্রভাবিত হওয়ার পর অন্য তেলের দামেও পতন লক্ষ্য করা যেতে পরে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের অনুমান, এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে সূর্যমুখী তেল, পাম অয়েল ইত্যাদি কিছু তেলের দামও কমতে পারে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কতটা কমতে পারে দাম?
তবুও চীনের শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব ফেলেছে। তিন দিন আগেও এক টন সোয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ১৫০ ডলার। এখন দাম কমে হয়েছে ১ হাজার ১০০ ডলার। সানফ্লাওয়ার ওয়েল, পাম অয়েলের দামেও অল্প মাত্রায় পতন রেকর্ড করা হয়েছে। আদানি উইলামারের এক কর্তা জানিয়েছেন, এপ্রিল-জুন সময়কালে ভোজ্য তেলের দাম কমের মধ্যে থাকতে পারে। ২০২৫-২৬ এর প্রথমার্ধে তেলের দাম বৃদ্ধির সম্ভবনা খুব একটা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৬০,০০০ বছর মিলবে বিনামূল্যে বিদুৎ! সীমাহীন জ্বালানির উৎস পেলেন চিনের বিজ্ঞানীরা
এদিকে ভোজ্য তেলের দাম যদি কমে যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ঘাড় থেকে কিছুটা হলেও বোঝা কমবে সাধারণ আমজনতার। এমনিতেই যত সময় এগোচ্ছে ততই নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিস থেকে খাদ্যবস্তুর দাম বেড়েই চলেছে। সেখানে ভোজ্য তেলের দাম কমলে খুশি হবেন সকলে সেটা বলাই বাহুল্য।