শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ এবার মিড ডে মিলে (Mid day Meal) মিলবে জন্মদিনের কেক থেকে শুরু করে গরম ভাত ও মুরগির ঝোল। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। বাংলার এই স্কুলের তরফে এমন এক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা সকলের নজর কেড়েছে। এমনিতে বিগত বেশ কিছু বছর ধরে বাংলার বহু স্কুলে শুরু হয়েছে মিড ডে মিল পরিষেবা। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বহু পড়ুয়ার কাছে এই মিড ডে মিল একপ্রকার স্বপ্ন। ডাল, ভাত, মাঝে মধ্যে ডিম, সয়াবিনের তরকারি যেন অমৃতের সমান অনেকের কাছে। এদিকে সরকারের এহেন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকল বাবা মা। কারণ তাঁরা কিছু খান বা না খান, সন্তানের মুখে একবেলা অন্তত খাবার যাচ্ছে এটাই অনেকের কাছে এক আলাদাই ভালো লাগার অনুভূতি। যাইহোক, এবার বাঁকুড়া শহরের এক স্কুলের দিদিমণিরা মিলে পড়ুয়াদের জন্মদিন পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
এবার স্কুলেই পালিত হবে জন্মদিন, মিলবে কেক
শুধু জন্মদিনই নয়, জন্মদিনের কেক থেকে শুরু করে ভালো মন্দ খাবার দাবার সবকিছুরই ব্যবস্থা করা হবে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কোন স্কুল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে? বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় এরকম উদ্যোগ নিয়েছে। এদিকে স্কুলের এহেন সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিভাবক থেকে শুরু করে সকল মানুষ। স্কুলের মধ্যেই একপ্রকার এবার থেকে থাকবে এলাহি ব্যবস্থা।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই স্কুলের বেশিরভাগ পড়ুয়া একদম দারিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে। এক বেলা খেলে অন্য বেলা কী খাবে সেই নিয়ে চিন্তা থাকে সকলের। তবে আর চিন্তা নেই, কারণ কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় পড়ুয়াদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জন্মদিনে কেক কাটা থেকে শুরু করে ভাত, মাংসের ঝোল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বড় উদ্যোগ স্কুলের
এর আগে এই স্কুলের তরফে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বসন্ত উৎসব, সরস্বতী পুজোর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এবার আরও এক ধাপ এগোনো হল। যে মাসে স্কুলের যত জন পড়ুয়ার জন্মদিন, সেই মাসের শেষ শনিবার তারা সকলে কেক কাটবে স্কুলে। এই মার্চেই নাকি স্কুলের ১০ জন পড়ুয়ার জন্মদিন। শনিবার তারা সকলে মিলে কেক কেটেছে। শুধু কেক নয়, ছিল পায়েসও। ১০ জনের জন্মদিন উপলক্ষে বদলে যায় মিড ডে মিলের মেনুও। ভাত, ডাল, আলু পোস্ত, মুরগির মাংস, চাটনি, শেষ পাতে মিষ্টি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, এভাবে যেমন স্কুল পড়ুয়াদের ছোট ছোট ইচ্ছাও পূরণ হবে, ঠিক তেমনই স্কুল ছুটের সংখ্যাও কমবে।