বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: প্রাচীন মিশরে (Egypt) মমি ও হাজার হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য ঘিরে কৌতুহলের শেষ নেই বিশ্ববাসীর। এবার সেই মিশরেই খোঁজ মিলল 2,600 বছরের পুরনো গুপ্তধনের। সূত্রের খবর, প্রত্নতাত্ত্বিকরা দীর্ঘ খনন কার্য চালিয়ে মিশরের কর্ণাক মন্দির কমপ্লেক্সের নিচে প্রায় 2,600 বছরের পুরনো প্রাচীন সোনার অলংকার ও দেব-দেবীর মূর্তি খুঁজে পেয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
প্রাচীন মিশর সম্পর্কে উঠে এল নয়া তথ্য!
দীর্ঘ বছরের খননকার্য শেষমেষ সফল হয়েছে। সম্প্রতি মিশরের কর্ণাক মন্দির কমপ্লেক্সে 2,600 বছরের পুরনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সহ বিভিন্ন সোনার অলঙ্কার ও দেবদেবীর মূর্তি মিশরের ঐতিহ্যে নতুন পালক জুড়ল। গবেষকদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, এই আবিষ্কারের দৌলতে মিশরের 26তম রাজবংশের সময় দেশটির ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিকগুলি কেমন ছিল সে বিষয়ে নতুন তথ্য পাওয়া যাবে।
সূত্রের খবর, বিজ্ঞানীদের সর্বশেষ আবিষ্কারটি শুধুমাত্র মিশরের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিকগুলি সম্পর্কে তথ্য দেবে না, একই সাথে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কর্ণাক মন্দির কত সালে তৈরি, এবং তার ইতিহাস ঠিক কী সে বিষয়েও জানার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে এই আবিষ্কার।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
মিশরের কর্ণাক মন্দিরের ইতিহাস
বিশ্বের অন্যতম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মিশরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘস্থায়ী ইতিহাস বহনকারী মিশরীয় দেবতার মন্দির কর্ণাক। বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, লুক্সরের কাছে অবস্থিত এই ধর্মীয় মন্দিরটি আজ থেকে প্রায় 4,000 বছর আগে তৈরি হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, 4,000 বছরের পুরনো এই বহু প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি প্রায় 1 হাজার বছর ধরে সংস্কার করা হচ্ছে। যা বর্তমানে মিশরীয় বিজ্ঞানীদের প্রাচীন ধন-সম্পদ অনুসন্ধানের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
খনন প্রক্রিয়া শেষে ঠিক কী কী পাওয়া গিয়েছে?
মিশরের কর্ণাক মন্দিরের কাছে গুপ্তধন উদ্ধারের খবর সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে ঠিক কী কী পেলেন গবেষকরা? সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রিপোর্ট দাবি করছে, মিশরের কর্ণাক মন্দির কমপ্লেক্স চত্বরে খনন কাজ চালিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকরা যেসব গুপ্তধন পেয়েছেন সেগুলির মধ্যে রয়েছে, সোনার অলঙ্কার, সোনার বীজ, তাবিজ এবং দেব-দেবীর মূর্তি।
জানা যাচ্ছে দেবতাদের মূর্তিগুলিও সোনার তৈরি। মিশরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে উদ্ধারকৃত অলঙ্কারগুলির মধ্যে সোনা, ধাতব আংটি এবং তিন দেবতার মূর্তি রয়েছে। জানা যাচ্ছে, খনন কার্যের পর একটি ভাঙা পাত্রের মধ্যে বহু প্রাচীন অলঙ্কারগুলিকে অক্ষত অবস্থায় পেয়েছিলেন গবেষকরা।
অবশ্যই পড়ুন: ‘মাত্র ২ ঘণ্টায় কলকাতা টু কাশ্মীর!’ IIT-র হাত ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাইপারলুপ ভারতে
উল্লেখ্য, প্রকাশ্যে আসে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট বলছে, মিশরের শতাব্দি প্রাচীন মন্দির চত্বরে খনন কার্য চালিয়ে যেসব দেবতার মূর্তি ও সোনার অলঙ্কার পাওয়া গিয়েছে সেগুলি সবই লুক্সরের জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে।