প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিজ্ঞানের প্রতি অগাত ভালোবাসা থাকে যাঁদের, কম বেশি তাঁদের সকলের ইচ্ছা থাকে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ISRO তে কাজ করার। আসলে মহাকাশ ভারী অদ্ভুত জিনিস। অজস্র রহস্যের মেলবন্ধন রয়েছে এই জগৎ জুড়ে। তাইতো অনেকের ছোটবেলা থেকে সেই অজানাকে জানার ইচ্ছা থাকে। বড় হয়ে মহাকাশে যাওয়া, সেই রহস্যের সমাধান করা আজও বহু মানুষের স্বপ্ন। আর এবার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে ISRO তে পাড়ি দিতে চলেছে তারকেশ্বরের বাসিন্দা দশম শ্রেণির হিমগ্ন ঘোষ। যা গোটা বাংলার কাছে এক গর্বের মুহূর্ত।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
তারকেশ্বর থেকে পাড়ি দেবে শ্রীহরিকোটায়!
সূত্রের খবর, তারকেশ্বরের হরিপাল এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হল এই হিমগ্ন ঘোষ। সেখানকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেই পড়াশোনা করে সে। কিন্তু তাঁর মেধার কাছে বয়স যেন হার মানল। অর্থাৎ হিমগ্ন ঘোষের বিজ্ঞানের, বিশেষ করে মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ এবং জ্ঞান এতটাই বেশি যে যেকোনো বেশি বয়সের জ্ঞানী মানুষকে টেক্কা দিতে পারবে অনায়াসে। আর ISRO এমনই মেধার সন্ধানে রয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রীহরিকোটায় ইসরোর দফতরে মহাকাশ প্রযুক্তি ও রকেট বিজ্ঞানের উপর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছে হিমগ্ন। আর সেখানেই আপাতত ১৫ দিন ধরে তাঁর মেধার চর্চা করা হবে।
কীভাবে মিলল এই সুযোগ?
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছেপ্রতি বছর নবম-দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করে থাকে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ISRO। প্রতি বছরই সেই প্রশিক্ষণে যোগ দেয় অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী। বেশ কয়েক ধাপে চলে সেই পরীক্ষা। চলতি বছরেও এই প্রশিক্ষণে যোগ দিতে চলেছেন মোট ৩৫০ জন। আর এই ৩৫০ জনের মধ্যে ১০ জন সুযোগ পেয়েছেন বাংলা থেকে। যার মধ্যে হিমগ্ন ঘোষ। তাঁর এই প্রতিভা এবং সাফল্য অর্জন রীতিমত বাকরুদ্ধ করে তুলেছে তাঁর গোটা পরিবারকে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এদিকে ছেলের সাফল্যে খুব খুশি বাবা মা। জানা গিয়েছে আগামী ১৬ মে ইসরোর উদ্দেশে রওনা দেবেন হিমগ্ন। তারকেশ্বর থেকে সোজা চলে যাবেন অন্ধ্রপ্রদেশে শ্রীহরিকোটায়। সেখান থেকেই পৌঁছে যাবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। চোখের সামনে এসে দেখবে কীভাবে রকেট উৎক্ষেপণ হয়, কীভাবে সেটি মহাকাশের পথে পাড়ি দেয়, কীভাবেই বা গবেষণা ভিত্তিক কাজ কর্ম করা হয় সবটাই এক বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেখতে পারবে হিমগ্ন।