শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ হাওড়াবাসী তথা যারা সড়ক পথে কলকাতায় আসেন, তাঁদের জন্য রইল দারুণ সুখবর। এবার আর তীব্র যানজটের মুখোমুখি হতে হবে না। কারণ এবার হাওড়ার বুকে এমন এক করিডর তৈরী হচ্ছে যার ফলে সেখান দিয়ে গাড়ি চালানো একপ্রকার মাখনের মতো মসৃণ হবে। সেইসঙ্গে মিটবে দীর্ঘদিনের যান সমস্যা থেকে মুক্তি। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে ব্যাপারটা কী? আসলে এবার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ছয় লেনের এলিভেটেড করিডর (Kona Expressway Elevated Corridor) তৈরী হবে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। এর জন্য খরচ হবে কয়েকশো কোটি টাকা।
এক্সক্লুসিভ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরী হচ্ছে করিডর | Kona Expressway Elevated Corridor |
হাওড়া স্টেশনের ওপর চাপ কমাতে সাঁতরাগাছি স্টেশনকে একদম নবধূর সাজে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে একটা সমস্যা থেকে গেছে আর সেটা হল, স্টেশনের কাজের জন্য গাড়ি চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। হাওড়ার ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক যা কোনা এক্সপ্রেসওয়েতেও ক্রমশ যানজট দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কিন্তু এবার সেসব অতীত হতে চলেছে, কারণ এবার এক ধাক্কায় ৬ লেনের এলিভেটেড করিডর তৈরী হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এলিভেটেড করিডর কী ভাবে তৈরি হবে তার একটি অলঙ্করণ সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে কলকাতা থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজা পেরিয়ে ফুটবল গেট থেকে গরফা খেজুরতলা পর্যন্ত সাত কিলোমিটার লম্বা ছয় লেনের এলিভেটর করিডর তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। সেই মতোই কাজ হচ্ছে। সাঁতরাগাছি ব্রিজের উপর দিয়ে এই করিডর ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। এই রাস্তার লিঙ্ক রোড যাবে সাঁতরাগাছি স্টেশনে।
প্রিমিয়াম খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
কমবে যানজট
কলকাতা ভিত্তিক সংস্থা জিপিটি ইনফ্রাপ্রজেক্টস রেল বিকাশ নিগম (RVNL) থেকে ৫৪৭ কোটি টাকার নতুন চুক্তি সুরক্ষিত করেছে। ইতিমধ্যেই ছয় লেনের এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ চলছে। চুক্তির মধ্যে রয়েছে এলিভেটেড করিডোরের ভায়াডাক্ট অংশ, স্টিলের স্প্যান বাদে রেলওয়ে ওভারব্রিজ (আরওবি), এন্ট্রি ও একজিট র্যাম্প, ছোট যানবাহন আন্ডারপাস (এসভিইউপি), বড় যানবাহন আন্ডারপাস (এলভিইউপি), যানবাহন আন্ডারপাস (ভিইউপি), পথচারী আন্ডারপাস (পিইউপি), কালভার্ট প্রশস্তকরণ, একটি এনএইচএআই অফিস ভবন এবং অন্যান্য বিভিন্ন কাজ।
এর মধ্যে রয়েছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে বরাবর ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ০.১৪৫ কিলোমিটার থেকে ৭.৩৩৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৈদ্যুতিকীকরণ ও আলোকসজ্জা। কাজ শেষ হতে আনুমানিক ৩ বছর সময় লেগে যাবে বলে খবর।