সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পাঞ্জাবের মোহালি আদালত এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ধর্ম প্রচারক বাজিন্দর সিংকে (Bajinder Singh) যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। ‘যেশু যেশু’ নামে পরিচিত এই ভণ্ড ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে এক মহিলা অভিযোগ করেছিল। জানা যায় তিনি নাকি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছিলেন, যা দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর প্রমাণিত হয়। আর গত মাসের ২৮ তারিখ তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মঙ্গলবার তার শাস্তি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে তিনি পাটিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ধর্মগুরুর ছদ্মবেশে এক ভয়ংকর অপরাধ
সূত্র বলছে, ২০১৮ সালে পাঞ্জাবের জিরকপুর থানায় এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বাজিন্দর সিং এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ওই মহিলাকে নিজের বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ারও হুমকি দেন। আর এই ঘটনার পর ওই ভুক্তভোগী মহিলা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।
আদালতের কড়া নির্দেশ
এই মামলাকে কেন্দ্র করে আদালতে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে ব্যক্তি নিজেকে ধর্মগুরু বলে পরিচয় দেয়, তার কাছে মানুষ বিশ্বাস এবং নৈতিকতা আশা করে। কিন্তু বাজিন্দর সিং সেই ধর্মগুরুর বিশ্বাসকে ভঙ্গ করেছে এবং একজন মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। ফলে তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্যাতিতার আইনজীবী বলেছেন, “একজন ধর্ম নেতা হয়ে কীভাবে এরকম নীচু কাজ করতে পারে? তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।”
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
শুধ বাজিন্দর নয়, দোষী আরো পাঁচজন
তল্লাশি করে জানা গিয়েছে, এই মামলায় বাজিন্দর সিং ছাড়াও আরো পাঁচজন অভিযুক্তের হাত রয়েছে। আর তারা হলেন আকবর ভারতী, রাজেশ চৌধুরী, জিতেন্দ্র কুমার, সিতার আলি এবং সন্দীপ পেহলওয়ান। তাদের বিরুদ্ধেও খুব শীঘ্রই কঠোর শাস্তির ঘোষণা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।