বরাবরই একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব ছিলেন টাটা গ্রুপের অন্যতম উদ্যোগপতি রতন টাটা। ভারতবর্ষের অন্যতম নামজাদা ব্যবসায়ী হয়েও সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার ছিল। ভারতবর্ষের সর্বাপেক্ষা নামী, ধনী ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর মতো মানবদরদী ব্যক্তিত্ব ভারতবর্ষে খুবই বিরল। গোটা দেশজুড়ে ছিল তাঁর অপার জনপ্রিয়তা। অত্যন্ত সুপুরুষ। এহেন মানব দরদী মানুষটাই গত বছর সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু করে গেছেন এমন কিছু কর্মকাণ্ড যার জন্য আজও মানুষ চমকে উঠছে।
কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন তিনি। ছিলেন নিঃসন্তান। অত্যন্ত সুদর্শন সুপুরুষ এই মানুষটা জীবনে বিয়ে করেননি। একবার হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের প্রেমকে। সেই প্রেম পূর্ণতা পায়নি আর তাই দ্বিতীয়বার বিয়ে করার কথা ভাবেননি তিনি। তাই তার বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী এবার হবে কে?
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটার উইল। সেখানেই দেখা গেছে তিনি তার কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে গেছেন এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে। সেই ব্যক্তির নাম মোহিনী মোহন দত্ত। কে তিনি?
এই ঘটনার কথা জানা ছিল না টাটা পরিবারেরও। সেই জন্য এই উইল প্রকাশ্যে আসতেই হতবাক সবাই। এই বিষয়ে জানা গেছে টাটা গ্রুপের প্রাক্তন কর্মী ৭৪ বছর বয়সী মোহিনী মোহন দত্ত রতন টাটার অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। জামশেদপুরে থাকতেই মোহিনী মোহন দত্তের সঙ্গে পরিচয় রতন টাটার। প্রয়াত টাটা চেয়ারম্যানের উইল অনুযায়ী মোহিনী মোহন দত্ত প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাবেন। তবে তাঁর দাবি তিনি ৬৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাবেন।
উল্লেখ্য মোহিনী মোহন দত্তের পরিবারের নিজস্ব ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা ছিল। যদিও তাজ গ্রুপ থেকেই নিজের কাজ শুরু করেছিলেন মোহিনী মোহন। স্ট্যালিয়ন নামক ওই ট্রাভেল এজেন্সির ২০ শতাংশ ছিল টাটা গোষ্ঠীর হাতে এবং ৮০ শতাংশ ছিল মোহিনী মোহন দত্তর পরিবারের হাতে। পরে অবশ্য রতন টাটার পরামর্শক্রমে এই ট্রাভেল এজেন্সির ব্যাপক ব্যবসা বৃদ্ধি পায় এবং হয়ে ওঠে ভারতবর্ষের অন্যতম নামজাদা ট্রাভেল এজেন্সি। জানা গেছে, রতন টাটার ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা ঘড়ি, ছবির মতো মহামূল্যবান সামগ্রী-সহ প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ডিপোজিট পেতে পারেন মোহিনী।