অ্যাডভেঞ্চার বাইকের ক্ষেত্রে অনেকেই রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান পছন্দ করেন। সম্প্রতি নতুন ৪৫০ সিসির হিমালয়ান লঞ্চ করে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু এই বাইকের দাম প্রায় ৩ লাখ টাকার কাছাকাছি, যা অনেকের সাধ্যের বাইরে হতে পারে। তবে হিরো মটোকর্পের একটি বাইক রয়েছে, যা আপনি ২ লাখ টাকার কমে পাবেন এবং দুর্দান্ত অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।
এই বাইকটি হল Hero Xpluse 210। ছিমছাম চেহারা থাকা সত্ত্বেও, পাথুরে, পিচ্ছিল বা জলকাদার মধ্যে চালানোর জন্য অত্যন্ত দক্ষ। বহু রাইডার লং ট্রিপের ক্ষেত্রে এই মোটরসাইকেলকে প্রাধান্য দেন। এতে রয়েছে ২১০ সিসি লিকুইড-কুলড DOHC ইঞ্জিন, যা সর্বোচ্চ ২৪.৬ হর্সপাওয়ার শক্তি এবং সর্বোচ্চ ২০.৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে।
এই অফ-রোড মোটরসাইকেলে ছয় গতির গিয়ারবক্স ও ২১০ মিলিমিটার ফ্রন্ট সাসপেনশন ট্র্যাভেল রয়েছে। এটি সিঙ্গেল এবং ডুয়াল-চ্যানেল এবিএস (ABS) উভয় ভ্যারিয়েন্টেই পাওয়া যায়, যা অ্যাডভেঞ্চার-প্রেমীদের জন্য দারুন বিকল্প। এই মডেলের এক্স-শোরুম মূল্য ১.৮০ লক্ষ টাকার কম।
রয়্যাল এনফিল্ডের বিকল্প হিসাবে আরও একটি দুরন্ত ক্রুজার বাইক রয়েছে হিরোর ঝুলিতে, নাম Hero Mavrick 440X। এতে পাওয়া যাবে আধুনিক রোডস্টার ডিজাইন এবং শক্তিশালী ৪৪০ সিসি ইঞ্জিন, যা সর্বোচ্চ ২৭ হর্সপাওয়ার এবং ৩৬ এনএম সর্বোচ্চ টর্ক উৎপন্ন করে। সঙ্গে উপস্থিত ৬ স্পিড ট্রান্সমিশন। কোম্পানির দাবি বাইকে, ৩৫টিরও বেশি স্মার্ট ফিচার্স রয়েছে।
বাজারে এই মুহূর্তে হিরো ম্যাভরিকের দাম ২ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে শুরু। হিরো ম্যাভরিক মডেলটি Harley-Davidson X440- কে অনুসরণ করে বাজারে এনেছে কোম্পানি। এই বাইকটিও হিরো এবং হার্লে যৌথ উদ্যোগে লঞ্চ করেছে। আপনার কাছে বাজেট কম হলে, এই দুই বাইক বিবেচনা করতে পারেন।