রাজ্যকে ৬৯৯ কোটি টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র, কোন কোন খাতে বরাদ্দ হবে এই টাকা?

গ্রামীণ বাংলার উন্নয়ন ঘটাতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ৬৯৯ কোটি টাকা অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র সরকার অর্থ বরাদ্দ নিয়ে টানাপোড়ন চালালেও এবার রাজ্যের ২১টি জেলা পরিষদ, ৩২৬টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩২২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই অর্থ দেওয়া হবে। গ্রামাঞ্চলের পরিকাঠামো এবং সার্বিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কীভাবে এই অর্থ খরচ করা হবে তা স্পষ্ট করে দিলেন নবান্ন।

কেন্দ্রের অনুদানে স্বস্তি রাজ্যের

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার অভিযোগ করেছিল যে, কেন্দ্র একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা এবং আবাস যোজনার অর্থ দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতের জন্য কেন্দ্রীয় অনুদানের ঘোষণা কিছুটা স্বস্তি এনেছে রাজ্যের জন্য। 

READ MORE:  জমির সঙ্গে আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক, এই কাজ না করলে আর সরকারি সুবিধা পাবেন না

কোন কোন ক্ষেত্রে খরচ হবে এই টাকা?

নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত এই ৬৯৯ কোটি টাকা মূলত গ্রামীণ উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই ব্যয় করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে-

  • রাস্তা এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়ন- গ্রামের অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট সংস্কার এবং সম্প্রসারণে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
  • স্যানেটেশন প্রকল্প- গ্রামীণ এলাকাগুলিতে শৌচালায় নির্মাণ এবং পানীয় জল সরবরাহের পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে এই অর্থ।
  • গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা বৃদ্ধি- পঞ্চায়েতগুলিকে আরও স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে প্রশাসনিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। 
  • সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প- দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। 
READ MORE:  গ্রাহকদের জন্যে বড় ধাক্কা, এবার অনলাইন পেমেন্ট করতে গেলেই কাটবে চার্জ

টাকা দ্রুত কাজে লাগানোর নির্দেশ

প্রতিবছর অর্থ কমিশনের তরফ থেকে ২ বার অনুদান বরাদ্দ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবার রাজ্য এই বরাদ্দ পেয়েছে। তবে নবান্ন ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা এবং পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে যেন এই অর্থ কোনভাবেই ফেলে না রাখা হয় এবং অর্থ দ্রুত কাজে লাগানো হয়। 

এই বরাদ্দ পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির স্বনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রের দেওয়া এই অনুদান যথাযথভাবে কাজে লাগানো হলে গ্রামীন পরিকাঠামো যেমন উন্নত হবে, তেমন কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে।

READ MORE:  রাজ্যে চালু হল রানী লক্ষ্মীবাই স্কুটি যোজনা, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে স্কুটি দিচ্ছে রাজ্য সরকার
Scroll to Top