মমতা সরকারের ২০২৬-এর ভোটের আগে এটাই ছিল শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর যথারীতি এই বাজেটে নজর রয়েছে রাজ্যবাসীর। কারণ জনমানসে বিভিন্ন খাতে কত টাকা ধার্য হয়েছে সেটা জানা জনগণের অধিকার। ভোটের আগে জনমুখী প্রকল্প খাতে কত টাকা বরাদ্দ হচ্ছে সেদিকেও নজর ছিল জনতার।
এই আবহেই এদিন বিধানসভায় পেশ হল বাজেট। যথারীতি বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রকে এক হাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলা বঞ্চিত হয়েছে এমনটাই দাবি রাজ্যের। তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের দাবি অতীতের তুলনায় বাংলার খাতে বরাদ্দ অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। আর এই আবহেই বাংলায় বাজেট প্রকাশিত হল।
উল্লেখ্য, এদিনের রাজ্য বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ‘নদী বন্ধন’ নামে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন। নদী কেন্দ্রিক মানুষের উন্নয়নের জন্যই এই প্রকল্প। ২০০ কোটির এই বিপুল অর্থ নদীর ভাঙ্গন রোধে বরাদ্দ হয়েছে। সেইসঙ্গে আবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্যও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ির জন্য ৯,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল দেওয়ার জন্যও ২০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে চলতি বছরের বাজেটে। ৩৫০ টি সুফল বাংলা স্টল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়েছে ৪ শতাংশ। ২০২৫-এর এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হবে বর্ধিত ডিএ। যদিও বাজেটে লক্ষ্মীর ভান্ডারে অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির উল্লেখ করা হয়নি।