প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর ২২ মে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল (OBC Certificate Case) করার নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল যে রাজ্যে ওবিসি সার্টিফিকেট পদ্ধতি মেনে দেওয়া হয়নি। তাই আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করতে হবে। কিন্তু এই নির্দেশ মানতে চায়নি রাজ্য। তাই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের এই নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এ দিকে মামলাটি বিচারাধীন থাকার কারণে রাজ্যে কয়েক লক্ষ তরুণ-তরুণীর চাকরি আটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে প্রশাসন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ওবিসি সার্টিফিকেট মামলায় উঠে এল নয়া মোড়
এমনকি গতকাল অর্থাৎ সোমবার হুগলির ফুরফুরা শরিফে ইফতারের অনুষ্ঠানে গিয়েও ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের কথা মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ দিন বলেন যে, ‘ওবিসি রিজার্ভেশন মামলা এই মুহূর্তে আদালতে বিচারাধীন, সে জন্য নিয়োগ বন্ধ। কিন্তু আমার নিয়োগ লিস্ট প্রায় তৈরি থাকা সত্ত্বেও ডাক্তার-নার্সদের নিয়োগ করতে পারছি না।” আর এই আবহে এবার ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল সংক্রান্ত মামলা এক নয়া মোড় নিল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবি জানিয়েছে যে সম্প্রতি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র সংরক্ষণের বিষয়ে ফের নতুন করে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। কারা ওবিসি তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য, তা যাচাই করা হচ্ছে।
আরও ৩ মাস সময় দেওয়া হল রাজ্যকে
তাই এই মর্মে আজ রাজ্যের পক্ষ থেকে নতুন করে সমীক্ষার কথা জানিয়ে তিন মাস সময় চাওয়া হয় শীর্ষ আদালতে। আইনজীবি কপিল সিবলের আর্জি শুনে বিচারপতি বিআর গবই জানতে চান, রাজ্যের নতুন করে সমীক্ষা করা নিয়ে অন্য পক্ষের কোনও আপত্তি রয়েছে কি না। তাতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, অন্য পক্ষের আপত্তি থাকার কথা নয়। সেইমতো রাজ্যকে তিন মাস সময় দিল শীর্ষ আদালত। জানা গিয়েছে আগামী জুলাই মাসের পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বি আর গাভাই বলেন, “একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা থেকে আমরা একটু স্বস্তি পেলাম।”
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এদিকে কিছুদিন আগে ওবিসি সার্টিফিকেট মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ভার্চুয়ালি হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কেন রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। সেই সময় ভুল স্বীকার করে বিচারপতির সামনে হাজিরা দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এবং জানিয়েছিলেন শীঘ্রই এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।