প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: দেশের দরিদ্র ও দরিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষদের খাদ্যের অভাব মেটানোর তাগিদে চালু হয়েছিল রেশন প্রকল্প (Misuse of Ration Card)। দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল এই প্রকল্প। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্য থেকে নানা সময়েই উঠে এসেছে রেশন দুর্নীতির ঘটনা। পর্যাপ্ত রেশন কেড়ে নিয়ে চলেছে একের পর এক দুর্নীতি, অভিযোগ উঠেছে এমনটাও। তাই এবার সেই রেশন কার্ডের অপব্যবহারের সম্ভবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
রেশন নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সুপ্রিম কোর্টে
সূত্রের খবর, পাঁচ বছর আগে করোনা অতিমারির সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার ওই মামলাটির শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চে। শুনানিতে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান, অনেক পরিযায়ী শ্রমিক রেশনের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তা পাচ্ছেন না। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের ই-শ্রম পোর্টালে বা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের তথ্য নথিভুক্তিকরণের পোর্টাল প্রায় ৩০ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের নাম রয়েছে। এর মধ্যে আট কোটিরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিকের রেশন কার্ড নেই বলে অভিযোগ আইনজীবীর।
রেশন পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে
সেক্ষেত্রে বিচারপতিদের বেঞ্চ এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে যাদের রেশনের সুবিধা পাওয়ার অধিকার নেই তারা রেশন কার্ডের অপব্যবহার করছেন। আর অপরদিকে যাঁরা রেশনের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাঁরা রেশনের কানাকড়িও পাচ্ছে না। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে যে, “অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যগুলি দাবি করে যে তারা ‘এত সংখ্যক রেশন কার্ড দিয়েছে’। কিন্তু এ সব করে তারা বিষয়টিকে বড় করে দেখাতে চায়। আদতে প্রকৃত অর্থে যাঁদের রেশন সামগ্রীর প্রয়োজন, তাঁরা কতটা উপকৃত হচ্ছেন তা নিয়ে আমরা সংশয় প্রকাশ করছি।”
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বিচারপতি কান্তে দরিদ্র সীমার নীচে থাকা রেশন পরিষেবা নিয়ে জানান, “দারিদ্রসীমার নীচে থাকা প্রকৃত পরিবারগুলির জন্য বরাদ্দ সুবিধা কি অযোগ্যদের পকেটেও পৌঁছে যায়? রাজ্যগুলি কেবল বলে ‘আমরা এতগুলি রেশন কার্ড দিয়েছি’ কিন্তু যখন তারা উন্নয়ন দেখাতে চায়, তারা বলবে ‘মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে’। আবার যখন দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের বিষয়ে কথা হয়, তখন তারা বলে ‘৭৫ শতাংশ দারিদ্রসীমার নীচে’। এগুলিকে কী ভাবে খাপ খাওয়ানো যায়? এগুলি পুরোপুরি বিপরীত। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন যোগ্যদের কাছে রেশনের সুবিধা পৌঁছোয়।”
এরপর শীর্ষ আদালত রেশন সমস্যার গোটা বিষয় নিয়েবকরে জানিয়েছে যে, ‘দরিদ্ররা যাতে তাদের অধিকারের রেশন পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে প্রত্যেকটি রাজ্যকে। পাশাপাশি, রেশন কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দূরে সরিয়ে রাখাটাই কাম্য।’ এদিনের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটিও। তিনি জানান, ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আপাতত দেশের ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ এই রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া আরও ১১ কোটি অন্য একটি স্কিমের আওতায় রয়েছে।’
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।