রাজ্যের রেশন ব্যবস্থায় গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যাগুলি সমাধান করতে উদ্যোগী হয়েছে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর। আগামী ৮ এবং ৯ই ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সমস্ত ব্লকে একটি বিশেষ উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযান চালনা করা হবে। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হল, রেশন বিতরণ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা এবং জনগণের মতামত সংগ্রহ করা।
রেশন ব্যবস্থার প্রধান সমস্যা
খাদ্য দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে রেশন ব্যবস্থায় বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলি হল-
- সার্ভার সমস্যা- সার্ভার কাজ না করায় গ্রাহকরা রেশন সামগ্রী তুলতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, যা ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
- আধার লিঙ্ক সংক্রান্ত সমস্যা- আধার কার্ড লিঙ্ক করার পরেও অনেক গ্রাহকের রেশন কার্ড বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা রেশন সামগ্রী ঠিকমতো তুলতে পারছে না।
- ডিলারদের অভিযোগ ও অনিয়ম- কিছু ডিলার সঠিকভাবে রেশন সামগ্রী বিতরণ করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। পাড়ায় বিলি করার বদলে দোকান থেকে সামগ্রী তোলার অভিযোগও উঠছে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে বিভিন্ন রকম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
সরকারের উদ্যোগ
গ্রাহকদের এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সরকার গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে। অভিযান চলাকালীন গ্রাহকদের মতামত এবং অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে রাখা হবে। দুয়ার রেশন প্রকল্প নিয়ে কোনরকম প্রস্তাব বা সুপারিশ থাকলেও তা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হবে।
গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া
দুয়ার রেশন প্রকল্প নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু মানুষ দুয়ার রেশন তোলার ব্যবস্থা থাকলেও তারা সুবিধাজনক সময় রেশন তুলতে পারছে না। এর পাশাপাশি পাড়ায় রেশন পৌঁছালে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে ডিলাররা মনে করছেন পাড়ায় রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রাজ্য সরকার করেনি। তারা চান রেশন দোকানেই বিতরণ করা হোক।
সমালোচনার মুখে খাদ্য দপ্তর
এই অভিযানটি মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে করা হবে, যা দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সময়সীমার মধ্যে পড়বে। অনেকের মতো শনিবার বা রবিবার অভিযান হলে বাস্তব পরিস্থিতি আরো ভালো হবে দেখা যেত।
এছাড়াও এত কিছুর পরেও কিছু জায়গায় দুর্নীতি বা অনিয়ম থেকেই যাচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন উঠছে। সরকারের এই পদক্ষেপ কি সত্যি কার্যকর হবে? নাকি শুধু একটি আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ? তা সময়ই বলে দেবে।